লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম
১৯৮৫ সালে হুসাইন মোঃ এরশাদ বাংলাদেশে “উপজেলা চেয়ারম্যান” নির্বাচন শুরু করেন। তিনি গ্রামীণ উন্নয়নের উপজেলায় ক্ষমতা বন্টনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং বিচারিক আদালত উপজেলা পর্যন্ত জনগনের দোরগোড়ায় আনেন। এমন কি হাইকোর্ট চার বিভাগে বন্টন করেন লক্ষাধিক মামলার জট খুলতে, পারলেন না কিছু আমলা ও ডাকসাইটে ব্যারিস্টারের জন্য! বিশ্বের সব স্বৈরশাসক ই কিছু কিছু ভালো কাজ করেছেন, গনতান্ত্রিক সরকারের সব কাজে কৈফিয়ত জবাব দিহিতা থাকে তাদের তা থাকে না বলে কাজে সুবিধা হয়। ঢাকার ভিতর অনেক বাড়িঘর ভেঙে দিয়ে রোড করেছেন যা সহস্র বাড়ীওয়ালা আদালত করতে পারেন নাই। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে উপজেলা চেয়ারম্যান ধাপ টা বন্ধ করে দেন!প্রিয় পাঠক, আমার বিষয় উপজেলা ৬ষ্ঠ নির্বাচন ২০২৪ ও আমার উপজেলার অবস্থা!বাংলাদেশে ৪৯২ টা উপজেলা, ধাপে ধাপে নির্বাচন হবে। ৮ ই মে ১ ম ধাপ নির্বাচন শুরু হয়েছে, মোট ৪ ধাপে নির্বাচন হবে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রথম ধাপ নির্বাচনের ভিতর ছিলো। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বিশিষ্ট বন্ধু “বাবুল সাহেব” চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন! চিতলমারী উপজেলা ২য় ধাপের অধীনে নির্বাচন হবে। ২য় ধাপে মোট ১৬৫ টা উপজেলা, চিতলমারী তার মধ্যে একটা!চিতলমারী উপজেলা সাংসদ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আপন ভাতিজা শেখ হেলাল ভাই, যিনি সাংসদ হয়ে আসার পর এই অবহেলিত-উপেক্ষিত উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন! আরো উন্নয়ন সম্ভব ছিল যদি উপজেলা ও ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রতিনিধি রা শতভাগ শততা নিয়ে কাজ করতেন এবং উপজেলার ইউনিয়ন ভিত্তিক কাজের পরিকল্পনা সাংসদের কাছে তুলে ধরতেন! জনগন থেকে জনপ্রতিনিধি যখন নিজের স্বার্থ বেশী খোজেন, দুই বাশ গর্তে ফেলে টয়লেট করা ব্যক্তি যখন গা গ্রামে ও ইংলিশ কমোডে টয়লেট এবং বাথটবে স্নান করা শিখে ফেলেন তখন বোঝা যায় জনগন থেকে ব্যক্তির উন্নয়ন বেশী হয়েছে! সাংসদ নির্বিকার কারন তিনি ঘরে ঘরে উঁকি মেরে দেখতে পারেন না!চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তিনজন। এবছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিক বরাদ্দ বন্ধ করেছেন অতএব নৌকার দোহাই দেয়ার সুযোগ নাই! তবুও মাননীয় সাংসদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে, উপজেলা প্রতিনিধি টেবিল টকে তা তিনি প্রকাশ ও করতে পারেন! বিশ্বে কোন লোক নিরপেক্ষ নয় একমাত্র “পাগল আর শিশু” ছাড়া! আমি লেখক নিরপেক্ষ নই, আমার ও পছন্দের প্রার্থী আছে কিন্তু আমার “কলম নিরপেক্ষ।” এমনি ভাবে মাননীয় সাংসদ “সর্বজনীন নেতা”, তিনি নিরপেক্ষ সাংসদ, ব্যক্তি হিসাবে তার পছন্দ অপছন্দ জনগন মূল্যায়ন করবেন, না করলে তার রেফারেন্স দিয়ে কোন প্রার্থী কে হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে পাঠাতে চাওয়া নির্বুদ্ধিতা ও অরাজনৈতিক বক্তব্য, প্রজ্ঞার অভাব (তথ্য – পত্রিকা নিউজ)!ব্যক্তির শক্তি প্রদর্শন দোষের নয় কিন্তু সাংসদের রেফেরেন্স টানলে রাস্ট্র তথা সরকারের গনতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ে, প্রশ্নের সম্মুখীন হয় নির্বাচন! যিনি বলেন তিনি অখ্যাত ব্যক্তি কিন্তু মিডিয়ার যূগে বিদেশের পত্রিকা পর্যন্ত এই কথার রেফারেন্স টেনে বলতে পারে, ” বাংলাদেশের নির্বাচন ফার্স (লৌকিক)! ক্ষতি হয়ে গেলে সাংসদ রাস্ট্র তথা গনতন্ত্রের গায়ে কালিমালিপ্ত, এমন কি ঐ প্রার্থীর ও ক্ষতি হলো!প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান, একজন ভালো মানুষ, আজীবন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছাত্র রাজনীতি করছেন, শেরেবাংলা কলেজের ভিপি ছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে নির্যাতিত হয়েছেন, দক্ষিণ বাংলার উন্নয়নের রূপকার বাগেরহাট ১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল ভাইর দীর্ঘদিন এপিএস ছিলেন। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শেখ পরিবারের সাথে থেকে অনেক অর্জন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে অনেক বার যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে! অনেক মন্ত্রী মিনিস্টার এখন ও ওয়াহিদ কে চিনে! ক্লিন ইমেজের মানুষ, আমি এবং আমার সহধর্মীনি দীর্ঘদিন তার এবং তার পরিবারের সাথে জড়িত। অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার মত তার আছে।তার সাথে আছেন প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান “মুজিবুর রহমান শামীম”, প্রাক্তন মহিলা সাংসদ “হ্যাপি বড়াল” ও এক ঝাক জনতা!২০০০ সালে প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বর্তমান সরকার প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উপজেলার গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন। উন্নয়ন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে উপজেলা অপরিহার্য!শ্রদ্ধেয় সাংসদ হেলাল ভাই চিতলমারী প্রার্থী বাছাই করতে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি তে প্রাক্তন আওয়ামীলীগার মুরব্বিদের ডেকেছিলেন – কাউকে কাউকে, আমি ও শেরে-বাংলা কলেজ অধ্যক্ষ কাজী নুরুজ্জামান প্রথম সাক্ষাৎ করে আমাদের মতামত দিয়ে ছিলাম, আমাদের ডাকানো হয়েছিলো এই প্রার্থী “ওয়াহিদুজ্জামান” এর মাধ্যমে এবং ঐ বছর হেলাল ভাই নিজ নামে ডাইরি বের করেছিলেন, আমি ও নুরুজ্জামান কে দুটো ডাইরি সন্মানি দিয়েছিলেন সাংসদ হেলাল ভাই অহিদকে নির্দেশ দিয়ে! অহিদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা প্রচুর তবুও প্রাপ্য শিখরে উঠতে পারেন নাই!আলমগীর সিদ্দিকীর রাজনৈতিক হাতে খড়ি ছাত্র রাজনীতি থেকে। তিনি কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি ছিলেন। উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ছিলেন, একবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে ছিলেন! তিনি রাজনীতি তে দুর্গম পথে টিকে থাকতে পারেন নাই বিতর্কিত “কালিদাস বড়াল হত্যা মামলায় আসামী হয়ে”!দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর তিনি পৃথিবীর আলোবাতাস বঞ্চিত! উচ্চ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে! জীবন থেকে বিয়োগ হয়ে গেছে দীর্ঘ ২০ বছর বিতর্কিত মামলায়, স্ত্রী সন্তান আত্মীয় স্বজনের থেকে বিছিন্ন ছিলেন দীর্ঘ দিন! হয়তো রাজনৈতিক ভাবে আরো অগ্রসর হতে পারতেন এতদিনে! বাবা-মা মাতুল এলাকার সম্ভান্ত্র বংশ, তবু বিধির লেখন হোচট খেয়েছেন জীবন চলার পথে! হয়তো আগামী দিনে বিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বোকামি বা গোয়ার্তমি এড়িয়ে জনগণের কাতারে সামিল হবেন সুযোগ পেলে! যারা উপজেলা থেকে আমাকে ফোনে প্রশ্ন করেন আলমগীরের সুনাম বা কুৎসা তুলে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ” মাননীয় উচ্চ আদালত কাউকে বেকসুর খালাস দিলে তাকে আর ঐ বিষয়ে দায়ি করে কথা বলা Condemned of Court.”এমন ভাবে বলায় আমি মনে করি আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে! আশা করি তিনি বা তারা উত্তর পেয়ে গেছেন!অশোক কুমার বড়াল রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক অভিজ্ঞ পরিবার থেকে আগত ব্যক্তি!তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন, তার ছোট ভাই কালিদাস বড়াল উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, নিজে বার বার ইউপি চেয়ারম্যান তথা উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন! তার সহধর্মিণী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান। নিজ ভাগ্নে পিযূস কান্তি উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন, অনেকদিন ক্ষমতায় থাকলে তার জনগনের কাছে জবাব দিহিতা নানামুখী, সব জবাব তার কাছে আছে কিনা সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন এবং জনগণ সেভাবে মূল্যায় করবেন। তার সমর্থক রা কতটুকু জনগনের দোরগোড়ায় যেতে পারছে, কতটুকু জনগনের পেয়ারা ব্যক্তি তারা, সেটা বিশেষ ভাবে বিবেচ্য! “হ্যাপি বড়াল” তার পরিবারের আপন জন, সে এখন কেন তার নির্বাচন ঘাতক এটা সুধী জনের প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে সন্দেহাতীত ভাবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আগামী পাঁচ বছরে রোড পরিস্কার রেখে চলতে হয় তাতে কি সফল ভাবে সতর্কতার সাথে এগিয়েছেন তিনি, that must be considered by the mass people’s.সৃষ্টি কর্তা তাকে নির্বাচিত করুন যিনি জনগনের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করবেন! তাকে নির্বাচিত না করুন যিনি জনগনের খেদমতের থেকে বেশী প্রতিশোধ পরায়ন এবং নিজ পেট পূজারি!