কলমে: রকিবুল ইসলাম

আচ্ছাদিত ছিলাম মম দুঃসহ বেদনাময় রজনীর ঘণ,গাঢ় আঁধারে নিদ্রাচ্ছন্ন হইয়া মোর গৃহে।
বাতায়ন রাখিয়াছিলাম উন্মুক্ত আলোর প্রত্যাশাতে।
আসেনি কভু সে আশার আলো কোন কাল,কোন ক্ষণে।
দিনগুলি আর রইল না বন্দি সোনার খাঁচাতে।
এমনি এক আঁধারে বেষ্টিত রজনীতে
উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল মোর নয়ন অদ্ভুত এক আলোকসজ্জার প্রভাবে।
মোহবিষ্ট হইলাম আমি অপার এক আবেশে।
শুভাগমন ঘটিল তথা,অপরুপা সুন্দরী এক পরী’র।
চমকাইয়া উঠিলাম তাহার হস্তের কমণীয় পরশে।
পুলকিত হইলাম আমি তাহার গভীর সুদীর্ঘ চুম্বনে।
নিদ্রা ভঙ্গ হইল মোর,জাগিয়া উঠিলাম আমি,
খুলিলাম স্বীয় নয়নের পাতা।
বর্ণময় আলোকরাজির বিচ্ছুরণের মাঝে
দেখিলাম যাহারে,সে-তো অদৌ কোন পরী নহে,
মোর হৃদপল্লীর হৃদ-অঙ্গণে অতীব যতনে বসবাসকারীণি,সকলের অলক্ষে লুকায়িত-“মহারাণী!”
আসিল সে মোর নিকটে,জড়াইয়া ধরিল গভীর আবেশে।
চুম্বন করিল মোর ঠোঁটে।আলোকরাজির সভা বসিল মোর গৃহে।
তাহার মস্তক হইতে ছিন্ন ও পতিত একখানি চুলও যাইতেছিল দেখা সে আলোতে।
এই আলো তো সেই আলো অদৌ নহে সখা,
এই আলো মোর “আশার আলো!”
হয়ত,বাস্তবে আর পাইব না কভু যাহার দেখা।