লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলামঃ

হ্যারি ট্রুম্যানের নির্দেশে ১৯৪৫ সালের ৬ ই আগষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমায় লিটল বয় নামক নিউক্লিয় বোমা নিক্ষেপ করে এবং ৯ই আগষ্ট ফ্যাটম্যান নামক নিউক্লিয় বোমা নাগাসাকিতে নিক্ষেপ করে! প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার নিরহ সাধারণ নাগরিকের স্পট ডেথ হয় যার অধিকাংশ ই সাধারণ নাগরিক! যেহেতু কোন যুদ্ধ নীতির কোন মানবিক ক্লজ মানা হয় নাই তাই কোন সামরিক ঘাটি বা সেনা বহর সাজোয়ো দেখে ও ধ্বংস যজ্ঞ টা চালানো হয় নাই! বিশ্বে এর থেকে বড় মানবতা লঙ্ঘন আজ-ও ঘটে নাই! ১৫ ই আগষ্ট জাপান মিত্র শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে!

প্রিয় পাঠক, সেই শহর পরিস্কার করতে কিছু কিশোর যুবক সেচ্ছায় অংশ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন “আজুমা” নামের এক কিশোর যিনি ছাই ভস্মের গাথা থেকে লাশ উদ্ধার করতে যেয়ে পেয়েছিলেন এক খান বই আধা পোড়া অবস্থায়! সেই বই লেখক ছিলেন “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” যাকে আমরা অপমান করার সর্বনিকৃষ্ট পথ খুঁজে ফিরছি তন্ন তন্ন করে! “আজুমা” সে-ই বই পড়ে কে জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন তাকে খুঁজেছেন, তিনি কবি গেটের থেকে ও রবীন্দ্রনাথের ভিতর বিশাল সাহিত্য পেয়েছিলেন। কবি লেখক আজুমা ১৯৭১ সালে মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করেছিলেন, ১৯৭৩ সালে “মুজিব” জাপান সফরে গেলে তার দোভাষী ছিলেন।আজুমা জাপানে “টগর” সাহিত্য সমিতি গঠন করেছিলেন! জাপান বাংলাদেশ কে প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বে পরিচিত করেছিলো!

আজুমা “শান্তিনিকেতন” ছিলেন, দুই বাংলায় প্রায় ৪০ বছর ঘুরেছেন। তার সহধর্মিণী “কেইকো” দারুন সুন্দর রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতেন!
কেইকো রবীন্দ্র সাহিত্য গবেষক বিশ্বের অনেকের ভিতর একজন! জাপান লাইব্রেরি তে
দশ হাজার মঙ্গল কাব্য থেকে আধুনিক বাংলা সাহিত্য বই আছে! জাপানি ভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলী ১২ খন্ডে তারা প্রকাশ করেছে!

আজুমা আবার ১৯৯৪ সালে শান্তি নিকেতন আসেন! রবীন্দ্র মায়ায় সহস্র লক্ষ জাপানি!আজুমা ১৯৯৪ তে এসে রবীন্দ্রনাথ মুজিব কাউকে পান নাই বলে তার আফসোস ছিলো!
২০১১ সালে আজুমা মৃত্যু বরন করেছেন!
আমরা বাংলাদেশের মানুষ রবীন্দ্রনাথের কেজি
১০ টাকায় বিক্রি করা আহম্মক আর মুজিবের মাথায় প্রসাব করা দশম গ্রেডের মানুষ!
একসময় একজন ডক্টরেটের অধীনে মানবতা মনুষ্যত্ব নিয়ে একটা গবেষণায় ক্লাস করতাম! আমরা ছিলাম বেশ কয়েকজন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার জজ উকিল ব্যারিস্টার কবি-লেখকদের আড্ডা। যেখানে ক্লাস হতো সেখানে মাটির সানকিতে খাবার পরিবেশ করা হতো এবং ফুড ম্যানেজার ছিলেন একজন সুন্দরী বধূ নাম কবিতা! এমনি ডক্টরেটের খুব কাছের সবাইকে আমার খুব জ্ঞানী মনে হতো!
ডক্টরের সাহেবের সে-সব লোক এখনও ফেজবুক টুইটার ব্লগ মেট আমার। সেই জ্ঞানী ডক্টরেটের কাছের এক জ্ঞানী আমাকে বললপন,” জাতীয় সঙ্গীত টা পাল্টানো জরুরি” কবি! ডক্টরেট সাহেব রুমানিয়া থেকে ডক্টরেট করেছিলেন, তার লেখা প্রায় ২০/২৫;খান বই প্রকাশিত হয়তো। আমার তার কাছের সাথীর কথায় মনে হলো,”হে আল্লাহ রেখেছো ভেড়া করে, কিছু কিছু মানুষেরে, l Q দিয়েছো বড় স্বল্প, আমার নিজের ও বেশী নয় হয়তো দিয়েছিলে অল্প, তুমি এদের মগজ ছাড়া মাথায় দিয়েছো শিলনোড়া, বাংলাদেশ আজীবন জ্বালাবে গুতায় – বাংলা মায়ের পা করবে খোঁড়া, সামনে চলনশক্তি করবে রহিত , হবে না কোনদিন এসব বর্বরের হিতাহিত! একজন শাসক পরিবর্তন নয় কোন স্বাধীনতা, এ কথা বোঝার মত এদের নাই কোন মাথা! একজন রবীন্দ্রনাথ গান্ধী জিন্নাহ মুজিব আতাতুর্ক সুকর্ণ দুরানী কুরুশ পিটার,
একজন এক একটা আইফেল টাওয়ার – নয় কোন গিটার —-

জিন্নাহ চরিত্রের উপর গবেষণায় ডক্টরেট হয়, রবীন্দ্রনাথ গবেষণায় অনেক দেশ ডক্টরেট দেয়, মুজিবের উপর ১৩৬৫ খানের মত বই লেখা হয়েছে দেশী বিদেশি মিলে! বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধের উপর পাকিস্তানের সরাসরি চোখে দেখা সেনা অফিসাররা ও গফ্ফর খান, ওয়ালী খান,আজগর খান রা প্রায় ৩১ খান বই লিখেছেন! To know the Fact কয়টা বই সংগ্রহ করেছেন কয়টা বই পড়েছেন! না পড়ে থাকলে আপনি না জানেন মুক্তি যুদ্ধ না জানেন জিন্নাহ মুজিব রবীন্দ্রনাথ! আপনি আহম্মক রাজনীতিবদ বটে। যে দল করেন, আপনি নিরদ্বিধায় নির্দয় ভাবে দেশের পয়সা চুরি করবেন! কাউকে না জেনে না বুঝে কোন সঙ্গীত পরিবর্তন পতাকা পরিবর্তন বিনা পয়সার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার লাইন স্টেটাস দেয়ারা আহম্মকের স্বর্গে বাস করছেন! সরকারের দেশ চালানোতে পরোক্ষভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছেন! আপনাদের জন্য কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে, ১৪৪ পোশাক কারখানা বন্ধ, বিগবস কারখানায় আগুন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ী পুড়ছে সেই ৫ ই আগষ্ট পূর্বের মত! উত্তাল হচ্ছে এক শহর থেকে অন্য শহর!