মোঃ মাহ্ফুজুল হক খান (জিকু),সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

জেলা সদরের আলোচিত ও শিক্ষার মানে এক নামে পরিচিত কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়টির এখন বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই!
বিভিন্ন সুএে ও অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের ভবনে শিক্ষার্থীদের স্থান সংকট, বেঞ্চ সংকট, পুরাতন ঝুঁকিপুর্ণ ভবনসহ দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পদ খালি থাকলেও নেই কোন ব্যবস্থা। এক মাস পৃর্বে প্রধান শিক্ষক পদটি পুরণ হলেও হয়নি পিয়ন ও পাহরাদারের পদ। ফলে চুরি যেন এখন স্কুলের নিত্য দিনের ঘটনা। চুরিসহ পিয়নের চাহিদা মিটাতে এখন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০টাকা চাঁদা তুলে চাহিদা মিটানোর চেষ্টা চলছে। গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদে লোকবল না থাকলেও হচ্ছে না নিয়োগ বাড়ছে ভোগান্তি। সেই সাথে কয়েক বছর যাবত এ স্কুলে নেই অভিভাবক কমিটি। অনেকের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকগণ ও নাম মাএ শিক্ষা কাজকর্ম চালায় কখন সময় পার হবে এমন ভাবনায় হেলেঢেলে সময় পার করে। তার মাঝেও নিজ আত্বীয় স্বজনের কার কেমন ক্ষমতা তা দেখানোর প্রতিযোগিতায়।
সব মিলিয়ে বিদ্যাপিঠটি এখন মরার উপর খারার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। ফলে স্কুলের শিক্ষার মান নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ।
কোন কিছুতেই যেন অদৃশ্য শত্রু পিচু ছাড়ছে না এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আদৌ ও কি এসব অভাব থেকে বেড়িয়ে সুশিক্ষা পৃর্বের আলোচিত সেই বিদ্যাপিঠ হবে? এসব ভাবনা এখন শুধু স্কুলের শিক্ষার্থী আর অভিভাবক নয় কিশোরগঞ্জ শিক্ষা অংঙ্গনেও এর আলোচনা শীর্ষে। এইরকম ঝুলাবি অবস্থা থেকে মুক্তি চায় কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। এসব বিষয় কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডলি আক্তার বলেন,আমাদের স্কুলে পিয়ন ও পাহারাদার না থাকায় কিছু শিক্ষার্থীদের দেয়া অনুদান নিয়ে চাহিদা মিটাতে পারবো না দরকার সরকারি নিয়োগের লোকবল। এসব বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাবঃ- এমদাদুল হক জানান ১৭০০ শিক্ষার্থী নিয়ে এ স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষাদান করে আসছে। স্কুলের তারসহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী চুরি হয়েছে এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা একজন পাহারাদার নিলেও স্কুলের চাহিদা মিটাতে পারছি না। পৌরসভার মেয়ররের সাথে পরামর্শ করে আমারা অচিরেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনারকলি নাজনীন বলেন, টাকা নেয়ার বিষয় আমি জানিনা লোকবল নিয়োগ সরকারি ভাবে না হলে কিছু করা কষ্টকর।