মো: আজগার আলী, সাতক্ষীরা:

জীবন সংগ্রামে অপরাজিত, ব্যক্তি স্বাদ-আহ্লাদহীন উচ্চমার্গীয় অক্ষরজ্ঞানী না হলেও এক শিক্ষিত মায়ের সন্তান সাথে শিক্ষিত ব্যবসায়ী এক বাবা। আশীষ কুমার দাস সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের নূরনগর গ্রামের পিতা ব্যবসায়ী অরুণ কুমার দাস ও মাতা শিক্ষিকা ভারতী রানী দাস এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। জীবনের উত্থান-পতনের নির্মম ঢেউ এ ভেসেছে তার পরিবারে। ১৭০ নং রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টফুলে বৃত্তি পেয়ে ঐতিহ্যবাহী নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এই বিদ্যালয় থেকে বিদায় নিয়ে সাতক্ষীরা সখিপুর সরকারি খান বাহাদুর আহছানউল্লা কলেজে ভর্তি হয় আশীষ কুমার দাস। পরবর্তীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনার্স শেষ করি। রেজাল্ট ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড। অনার্স শেষ করে বিসিএস এর যাত্রা শুরু। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি।

আশীষ কুমার দাস বলেছেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাইবা ছিল বিসিএস ভাইবা এবং প্রথম বিসিএস এ প্রশাসনিক ক্যাডার। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। বাবা-মা এবং আমার একমাত্র কাকা উত্তম কুমার দাস বাপ্পি সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমার কোন চাহিদা তারা কোন সময় অপূর্ণ রাখেনি।

তারা সব সময় ছায়ার মত আমার পাশে ছিল এবং আমার পড়াশুনার গাইডলাইন দিয়েছিল। বর্তমানে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারি পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছি। বিসিএস হচ্ছে প্রতিযোগিতার জায়গা। এখানে দেশের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার হন। সুতরাং ক্যাডার পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধের জন্য ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। যাতে যুদ্ধে টেকা যায়।