মোঃসৌরভ শেখ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ২০১৪ সাল থেকে জ্ঞানের আলো পাঠাগার কোটালিপাড়া উপজেলা সহ দেশের বিভিন্নস্থানে বই পড়া আন্দোলনের পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা,চিকিৎসা, আর্থসামাজিক উন্নয়নে,দরিদ্র জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন, যেকোনো দুর্যোগ কালিন সময়ে সর্বাত্মক সহযোগিতামূলক,সেচ্ছায় রক্তদান,বনায়ন সৃষ্টি সহ বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
কোটালিপাড়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডর রোগিদের ব্যবহার অনুপযোগী টয়লেট বাথরুম গতবছর জ্ঞানের আলো পাঠাগার পরিস্কার করে দেয়। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের রোগিদের টয়লেট বাথরুমের দরজার সিটকানী মেরামত ও নষ্ট লাইট ও সুইচ ঠিক করে পরিপূর্ণ ব্যবহার উপযোগী করে দেয় জ্ঞানের আলো পাঠাগার।কোটালিপাড়া হাসপাতালে কোন দুগ্ধপোষা শিশুদের নিয়ে চিকিৎসা নিতে আশা মায়েরা ভোগান্তি ও অসস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তো,বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর সময়।
স্পর্শকাতর এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে গতবছর জ্ঞানের আলো পাঠাগার কোটালিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোটালিপাড়া হাসপাতালের তৎকালীন প্রশাসনিক প্রাধান ডাঃশাওন সিকদার টিটু এর সহিত কয়েক দফায় আলোচনা করে জ্ঞানের আলো পাঠাগার।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জ্ঞানের আলো পাঠাগারের মাতৃদুগ্ধ কর্নারটি স্হাপনের জন নিচতলায় টিকাদান কেন্দ্র ও টিকিট কাউন্টারের পাশে স্হান নির্ধারণ করে দেয়।কেননা শিশুদের টিকাদানের পর শিশুরা কান্নাকাটি করে।এ সময় মায়ের বুকের দুধ পান করানোর মাধ্যমে শিশুদের শান্ত করে। এখানে মা ও শিশুদের সুবিধার জন্য লাইট ফ্যান লাগিয়ে দেয় জ্ঞানের আলো পাঠাগার।গত বছর ৮মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের এই মাতৃদুগ্ধ কর্নারটি উদ্বোধন করেন কোটালিপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ। এসময় কোটালিপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষী রানি সরকার, কোটালিপাড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ডাঃশাওন সিকদার টুটু,কোটালিপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগম, উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়া,জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মন্ডল সহ হাসপাতালের চিকিৎসক,কর্মচারী, জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জ্ঞানের আলো পাঠাগার সবসময় এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন চিন্তা করে।হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সেচ্ছাসেবকদের নজরে আসলে হাসপাতালের প্রধান ডাঃনন্দা সেন গুপ্তেকে অবহিত করতে গেলে তিনি তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং তিনি বলেন হাসপাতালের বিষয়ে আপনারা এত নাক গলান কেনো।সম্প্রতি কিছু অনিয়ম,ঠিকঠাক মত অপারেশন না করা,রোগিদের ঔষধ বিতরনে অনিয়ম গুলো জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।এতে তিনি আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের পরিবর্তে হাসপাতালে কর্মরত তার আনুগত্য কিছু কর্মচারীদের নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ করেন।সেখানে ডাঃনন্দা সেন গুপ্তে সবাইকে উস্কে দেন জ্ঞানের আলো পাঠাগারের ফেসবুকে হাসপাতালের পক্ষে কমেন্ট করার জন্য।
তিনি তার অপকর্ম ও ব্যার্থতা ঢাকতে উক্ত পাঠাগারের নামে চাঁদার আদায়ের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি পাঠাগারের সদস্যদের নজরে এলে পাঠাগারের পক্ষ থেকে এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।এরপর ডাঃনন্দা সেন গুপ্ত হিংসার বশবর্তী হয়ে উক্ত পাঠাগারের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া গত ৩আগষ্ট বৃহস্পতিবার কোটালিপাড়া হাসপাতালে স্থাপিত মাতৃদুগ্ধ কর্নারটি ভেঙ্গে ফেলেন।হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত এই মাতৃদুগ্ধ কর্নারটি ভেঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কে পদদলিত করেছেন বলে মন্তব্য করেন উক্ত পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মন্ডল, আগষ্ট মাস থাকার কারনে আজ ২সেপ্টেমবর ২০২৩তারিখে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডাঃ নন্দা সেন গুপ্তের অপকর্ম ও দুঃসাহসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।এবং তিনি আরও জানান,আগামী ৮সেপ্টেমবরের মধ্যে এর কোন প্রতিকার না পেলে ৯সেপ্টেমবর শনিবার জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সেচ্ছাসেবক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতিবাদ রেলি,মানববন্ধন সহ লাগাতর কর্মসূচি পালন করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মন্ডল,রাধাগন্জ ইউনিয়ন টিম লিডার সজিব শেখ,আমতলি ইউনিয়ন টিম লিডার খায়রুল ইসলাম এবং সদস্য ছিলেন,মিলন শিকারী,সোহান মৃধা,হাসান শেখ,মুন্না শেখ,রাকিবুল ইসলাম,কালাম তালুকদার সহ উক্ত পাঠাগারের সকল সদস্যবিন্দু ও জাতীয় পত্রিকা , অনলাইন পত্রিকা মিডিয়া সহ বিভিন্ন ইলেক্টিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।