মোঃ নুর ইসলাম মৃধা,স্টাফ রিপোর্টারঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের তাফাল বড়িয়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারটি শূন্য পদে মোটা অংকের লেনদেনে নিয়োগ বানিজ্যর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ হাজী আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অংকের আর্থীক লেনদেনর মাধ্যমে অবৈধ ভাবে এই নিয়োগ প্রক্রীয়া সম্পূর্ণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বন্ধে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, স্কুল টির চারটি শুন্য পদের অনুকুলে মোট ষাট জন প্রার্থী ব্যাংক ড্রাফের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের অনূকুলে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গোপনে চারজনকে নিয়োগ প্রদান করেন।

যারমধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন, হিসাব রক্ষক পদে ১জন,আয়া পদে ১ জন,ও পরি ছন্ন কর্মী হিসেবে ১ জনকে নিয়োগ দেয়। সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে জানা যায়, শূন্য পদে নিয়োগ পরিক্ষায় গোপন রেখে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজশে নিয়োগ বানিজ্য সম্পূর্ণ হয়।এতে করে খোদ স্কুল টির সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ স্থানীয় জনসাধারণ প্রতিবাদ করে। স্থানীয় মো,মজিবর তথা স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সর্বোচ্চ ভোটদাতা সদস্য তিনি বলেন, আমরা এই নিয়োগ বানিজ্যর বিষয় কিছুই জানিনা, স্কুলে এব্যপারে কোন আনুষ্ঠানিক মিটিং ও হয়নি।প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অংকের লেনদেনে নিয়োগ প্রক্রীয়া সম্পূর্ণ করে। আমি এর তিব্রনিন্দা ও প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানাই।

বিষয়টি নিয়ে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দায়সারা বক্তব্য রাখেন,তিনি বলেন আমি বিধি অনুযায়ী কাজ করেছি। এটা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এখানে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে বলে তিনি জানান। এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান এর সাথে দেখা করতে গেলে তার বাসা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

এবং বিষয়টি জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিষয় পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি বলেন, এবিষয় আমি ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিয়োগ দিলেই সেটা কার্য্যকর হবে এমন কোন কথা না। আমরা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করছি।