তাহলে আপনাকে যদি বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো সেই ব্যবস্থা যেখানে যন্ত্রকে শেখানো হয় , যাতে যন্ত্রও মানুষের মতো ভাবতে পারে , সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
প্রয়াত সর্বককের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানীদের অন্যতম স্টিভেন হকিং এর একটি কথা না বলেই নয় ” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানব সভ্যতার হয় সর্বশ্রেষ্ট আবিষ্কার নয়তো , সর্ব নিকৃষ্ট আবিষ্কার ” তিনি মানুষকে অন্য গ্রহে বসবাসের জায়গা খুজতে বলেছেন। তার মতে হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর হাতেই মানব স তার ধ্বংস হবে। যারা একটু হলিউড মুভি বেশি দেখেন তাদের কাছে হয়তো ব্যাপারটা একটু হইলেও আন্দাজ আসে যে , বুদ্ধিমান রোবট কি করতে পারে। স্টিভেন হকিং হলিউড মুভি দেখতো কিনা আমি জানি না ………
বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে তিন ভাবে ভাগ করেছে।
ANI=Artificial Narrow Intelligence
AGI=Artificial General Intelligence
ASI=Artificial Supper Intelligence
আমাদের মাধ্যমে যেহেতু শুরু হয়েছে তাই , তাই আমরা আছি ANI=Artificial Narrow Intelligence এ। এই যন্ত্র গুলো মানুষের চাইতে কিসুটা কমবুদ্ধিমান হবে। তারা মোটামুটি একটা কত বাচ্চার মতো চিন্তা শক্তির অধিকারী হবে বা একটা ১৪ বছর বয়স্ক বাচ্চার মতো। গুগল ড্রাইভেরলেস কার , রান্নাকরার রোবট , রোবট কুকুর এই পর্যায়ে পরে।
AGI=Artificial General Intelligence এই পর্যায়ে মানুষ রোবট হবে সমানে সমান। কোনো কোনো বিজ্ঞানীর মতে হয়তো তা ২১০০ সালে শুরু হবে আর কেউ আরো এগিয়ে তাদের মতে ২০৫০ মধ্যে রোবট রা বা যন্ত্ররা এই সক্ষমতা অর্জন করবে। কি হবে তখন ……. হয়তো আমাদের নাতি নাতনিরা স্কুল থেকে এসে গল্প করবে , তাদের রোবট টিচারের। তখন আর মানুষের ডাক্তার আর দরকার পড়বে না ,এমনকি গবেষণার মতো কাজ করবে মেশিন। মহাকাশ গবেষণা ,আন্ত গ্যালাক্সি অভিযান অনেক সহজ হয়ে আসবে।
ASI=Artificial Supper Intelligence যারা নিয়মিত হলিউড মুভি দেখেন তারাতো জানেনই , রোবট ক্ষমতা পেলে কি হতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীর আসংখ্যা এটা অতন্ত এ শতাব্দীতে হবে না , সুতরাং এটা নিয়া আমাদের চিন্তা করে লাভ নাই কেননা বাংলাতে একটা কথা আছে “আপনি বাঁচলে নাতি নাতনির নাম”।
রৌসুল আজম সুমন
ব্লগার (www.rusulazom.me)