সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ মাহ্ফুজুল হক খান (জিকু):
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন কার্যক্রমের শুরু থেকেই কোম্পানিগুলোর অপতৎপরতা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও ওয়েপ কিশোরগঞ্জ। সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে ‘দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন: সিগারেট কোম্পানি বেপরোয়া’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও ওয়েপ কিশোরগঞ্জ’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান রিপন। তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন কার্যক্রমের শুরু থেকেই তামাক কোম্পানি ও তাদের সহযোগীরা গুরুত্বপূর্ণ এ উদ্যোগটি বিফল করতে নানা মিথাচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, তামাক কোম্পানি রাষ্ট্রীয় আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জনস্বাস্থ্যকে প্রধান্য দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন ত্বরান্বিত হবে। এতে আমাদের সন্তান ও প্রিয়জনদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এজন্য তামাক কোম্পানির সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো- দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত, তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় এফসিটিসি’র অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ গ্রহণ, ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ; টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয়া করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভার সিদ্ধান্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক কোম্পানি বা প্রতিনিধিকে জরিমানার পাশাপাশি জেল প্রদান, আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রণয়ন বাস্তবায়ন, তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ৯০ শতাংশ করা, ই-সিগারেট বা ভেপিংয়ের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ওয়েপ কিশোরগঞ্জ’র নির্বাহী পরিচালক ও
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমান রিপন, আরডিও নির্বাহী পরিচালক রুবিনা আক্তার রুবি, ডিএসও এর প্রতিনিধি মোঃ তারা মিয়া, উইডুর সমন্বয়কারী খায়রুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।