মো: আজগার আলী, নিজস্ব প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:

মধ্য আশ্বিনের শেষে গত দুই দিনের বৃষ্টিপাতে সাতক্ষীরা শহর সহ নিম্ন এলাকা জলাবদ্ধতায় পরিনত হয়েছে। কোন কোন সময় মুষলধারে আবার কোন কোন সময় থেমে থেমে চলা বৃষ্টিপাতে সর্বাপেক্ষা ক্ষতির কারনে পরিনত হয়েছে রবিশষ্য, সবজি ক্ষেত এবং কাটাখোন্দক। জেলার হাজার হাজার চিংড়ী ঘেরে পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃষ্টি পেয়ে ঘেরগুলো বিপদসীমা অতিক্রম করতে চাইছে। সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা, কালিগঞ্জ, শ্যামনগর ও সদর উপজেলার চিংড়ী ঘেরের ভেঁড়ি বাঁধে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে নদী ও খাল সংলগ্ন চিংড়ী ঘেরের চিংড়ী নদী ও খালে ভেসে গেছে। দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনির চিংড়ী ঘের সহ কৃষি জমিজমা আর পানি নিষ্কাষনের পুটিমারি ও কুলিয়া খাল দিয়ে যে ভাবে পানি নিষ্কাষন হওয়ার কথা ততোটুকু পানি নিষ্কাষন হচ্ছে না। কুলিয়া খাল খনন ও পুনঃখনন সম্পূর্ণ ভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় পানি সরার ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুই দিনের বৃষ্টিপাতে উঠতি আমন ধানের ক্ষেতে পানি জমেছে। বিরামহীন বৃষ্টিপাতের কল্যানে গত দুই দিনে যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ছন্দ পতন ঘটেছে। হাটবাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়ী ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই সমভাবে সমস্যায় পড়েছে।

বিশেষ করে ট্যাংক দোকান ও অস্থায়ী ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের দোকান পাট বন্ধ রাখতে হয়েছে। অতি বৃষ্টির কল্যানে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের যানবাহনগুলো ছিল অনেকটা যাত্রী শুন্য, অতি প্রয়োজন ব্যতিত লোকজন ঘরের বাইরে বের হইনি। খেটে খাওয়া দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ গুলো কাজের অভাবে আয় উপার্জন করতে পারেনি, বিশেষ করে গতকালের বৃষ্টিপাত ছিল তীব্র। সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় দুপুর বারটা হতে অন্ততঃ দেড়টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এতটুকু জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে যে শহরের সংযোগ সড়ক গুলোতে জনসাধারনের পায়ে হেটে চলাচল করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। কালেক্টর চত্বরে পানি স্রোত বইছে, শহরের পলাশপোল, কামালনগর, বাঙ্গালের মোড়, মধুমল্লার ডাঙ্গি, মেহেদীবাগ, ইটাগাচা, মুনজিতপুর সহ বহু এলাকায় জলাবদ্ধতা আচ্ছন্ন।

কালেক্টর অফিস সংলগ্ন আবাসিক এলাকার বহু ঘরে পানি উঠেছে। সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, সড়কের গর্ত গুলোতে পানি জমে রীতিমত বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরার শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম ঘটেছে। এই মুহুর্তে পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা পূর্ণতায় রুপ না পেয়ে অধিকতর পানি জমে অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, বৃদ্ধি পাবে জনদুর্ভোগ।