এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। গণতন্ত্র হ্যালো বাংলাদেশের মূল মন্ত্র। গণতন্ত্রকে পূজা করেই হয় ক্ষমতার পালাবদল। কিন্তু হয়নি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন। ভিন্ন প্রজাতির এই বাংলাদেশে, রয়েছে ভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। প্রিয় জন্মভূমিতে যেমন রয়েছে দারিদ্র নিম্নবিত্ত ঠিক তেমনি রয়েছে মধ্যবিত্ত। উচ্চ বিদ্যালয় এবং নিম্নবিত্তদের তুলনায় মধ্যবিত্তদের সংখ্যা বেশি। এ দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বল্প আয়ের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করে। খুবই কম সংখ্যার কে বর্গ রয়েছে, যারা ভালো মানের বেতন অথবা ব্যবসায়িক আয়ের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করে। অধিকাংশ ব্যক্তি অল্প বেতনের চাকরিজীবী, এবং কোনরকম জীবনযাপন করার মতো অর্থ উপার্জন করে থাকে। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে দেশের মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা। আওয়ামী সরকার পতনের পর এদেশের সাধারণ জনগণ ভেবেছিলো এবার হয়তোবা,দেশের মানুষ একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। তরুণ প্রজন্মের ছাত্র জনতার অর্জিত নতুন স্বাধীন দেশে, জনগণের মৌলিক অধিকার দ্রব্যমূলের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি কিছুটা হলেও অপসারণ হবে।এদেশের বেশিরভাগ মানুষ দৈনিক অর্থ উপার্জন করে থাকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আমি সরকার পতনের অন্যতম কারণ ছিল দ্রব্যমূলের
ঊর্ধ্বগতি। দ্রব্যমূলের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেশের সাধারণ জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছিলো।নতুন সরকার গঠনের পরে রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি,অস্বাধু ব্যবসায়ীরাও সংস্কার হবে বলে ভাবনা ছিল জনতার। কিন্তু আমি সরকার পালানোর পরে, নতুন সরকার গঠন হলো। নতুন সংবিধান সংস্কার করা হলো, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দপ্তর সংস্কারের কাজ অব্যাহত। হয়নি জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন। অপূর্ণতায় রয়ে গেছে জনগণের স্বপ্ন এবং অধিকার। জন সম্মুখে হাজারো প্রশ্নের পাহাড় জমা হয়েছে।
দ্রব্যমূলের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি কি হবে দেশের, কোন পথে যাচ্ছ আগামীকালের বাংলাদেশ? নিত্য পণ্যের বাজারে যেনো আগুন, কিন্তু কেনো?দ্রব্যমূলের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা? এরকম রয়েছে হাজার প্রশ্ন!

বর্তমান চলমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিক বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে, যে তথ্যগুলো উদঘাটন করা হয়েছে, সেই তথ্যের আলোকে উক্ত প্রশ্নগুলোর, এবং জনগণের মনের হতাশার যৌক্তিক আলোচনা খন্ডন করার চেষ্টা করছি।
আমরা জানি, এদেশের আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার পালানোর পরেও, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, পালিয়ে যাওয়া সরকারের গুপ্তচর বাহিনী রয়েছে। বিশ্বের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, এই দেশ কঠিন দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়েছে। যেমন আমি আমার ভাষায় যদি বলি,
জামাই এসেছে বৌ নিতে
ঢুকতে দেয়নি ঘরে,
দরজার সামনেই বৌ দাঁড়িয়ে
জামাইকে বিদায় করে।
এই উক্তিটির ভাব দ্বারা হলো,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর, সংসদ ভবনে যাওয়ার পূর্বেই দেশ কঠিন দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়েছে। যেই দুর্যোগের মোকাবেলা করতে, গিয়ে সর্বদিক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা, ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশের।এই ব্যায়টা রাষ্ট্রীয় কোন উন্নয়নমূলক কাজে যাবে না, সবঠাই ক্ষতিপূরণ। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ভারত পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যার মোকাবেলা করতে বাধ্য করলো বাংলাদেশকে। এখনও বিভিন্ন অঞ্চলে সেই বন্যা চলমান। বর্তমান সীমাহীন দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে দোষারোপ করা অত্যন্ত অযৌক্তিক বলে মনে করি।কারন হচ্ছে গত ১৬ বছরে এদেশের বিলিয়ন বিলিয়ন কোটি টাকা লুটপাট করে প্রতিটা ব্যাংককেই অর্থ শূন্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিলো।যেই শূন্যস্থান পূরণ করা অকল্পনীয়। তবুও যদি পূরণ হয়, আলহামদুলিল্লাহ। তৎকালীন সরকারের প্রতিটা কর্মকর্তা-কর্মচারী হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। যেই টাকার সম্পূর্ণ মালিক এদেশের সাধারণ মানুষ। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর, দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। নানা রকম কর্মসূচি দিয়েছে। দেশ যখন সীমাহীন অর্থ শূন্যতায় দাঁড়িয়ে, ঠিক তখনেই একটি নতুন সরকারের হাতে আমরা দেশের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছি। দেশ এবং জাতিকে নিয়ে কোন কিছু ভাবার পূর্বেই, বন্যা নামক দুর্যোগের মোকাবেলা করতে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা। এগুলো সত্যিকারের ইতিহাস, ভুলে গেলে চলবে না। সবদিক বিবেচনা করে দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবুও আমি এদেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, এ দেশের সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষতি বিনীত আবেদন জানাচ্ছি যেনো দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির শীঘ্রই অপসারণ করা হয়। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী যেনো প্রতিটা পণ্যের দাম নির্ধারিত করা হয়।