ইকরাম হোসাইন, নবীনগর প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গত বৃহস্পতিবার ভিকটিমের মা অভিযুক্ত তিন সন্তানের জনক খোকন মিয়া (৪৫) বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মাহমুদা (১১) স্কুল চলাকালীন অবস্থায় গত ১৫ই অক্টোবর দুপুরে ওই শিশু বিস্কুট কেনার জন্য দোকানে গেলে কৌশলে দোকানের ভিতরে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়, পলিথিন দিয়ে দুহাত বেঁধে ফেলে পরনের হাফ প্যান্ট খুলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এই সময় শিশুটি কান্না করিতে থাকিলে ঘটনাস্থলে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা নাসিমা ও কল্পনা বেগম দোকানে ঢোকার চেষ্টা করিলে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা শুনে আমার স্বামী দোকানে যেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে বিস্তারিত শুনে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি। এ জন্য স্থানীয় বিচারের অপেক্ষায় থানায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত খোকন মিয়া আত্মগোপনে আছেন।

শিশুটির বাবা মনির হোসেন বলেন, আমি গরিব মানুষ চাষবাস করি, খোকন সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজের আপন ছোট ভাই তার দাপটে বিভিন্ন অপকর্ম করছে, সে এর আগেও এরকম বহুৎ ঘটনা ঘটিয়েছিল। চেয়ারম্যান আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে এরকম দুই-তিনটা মামলা তার কিছু করতে পারবেনা।

এই বিষয়ে খোকন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোকন মিয়ার বড় ভাই সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাদের সাথে জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, তবে আমার ছোট ভাই অপরাধী হলে অবশ্যই তার আইনিভাবে বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূরে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সততা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, এই বিষয়ে শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং গ্রামে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।