সোহেল রানা পীরগাছা,রংপুর প্রতিনিধিঃইসরাত চৌধুরী ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে সচিব হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।সরাত চৌধুরী ১৯৬৭ সালের ২০ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মৌসুফ আলী চৌধুরী এবং মাতা মরহুম রওশন আরা চৌধুরী । বাবার চাকুরিসূত্রে তাঁর শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত হয় চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মার্কেটিং-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং দিল্লী থেকে হিউম্যান রিসোর্স প্ল্যানিং এণ্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।বিসিএস (প্রশাসন ) ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ১৯৯৪ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন । মাঠ পর্যায়ে তিনি সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে টাংগাইল জেলায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে বগুড়া জেলার সদর ও গাবতলি উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এছাড়া প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।চৌধুরী সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপসচিব ও যুগ্মসচিব হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন।ইসরাত চৌধুরী প্রায় ছয় বছর লিয়েনে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ এবং ‘দি ইউনিয়ন’ শীর্ষক অপর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কারিগরি পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।ইসরাত চৌধুরী রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের চালুনিয়া গ্রামের শাহ পরিবারেরর পুত্রবধূ। তিনি ওই গ্রামের সাবেক উপসচিব মৃত শাহ আব্দুর রউফের পুত্রবধূ ও সাবেক এমপি, ভাষাসৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা বউ।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের মা এবং তাঁর স্বামী জনাব শাহ রেজওয়ান হায়াত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।