এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ- চট্টগ্রাম জেলা :
যাদের নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত, বিপদের সময় তাদের রক্ত খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আত্মীয়-পরিজনদের এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। কিন্তু এমনও রক্তের গ্রুপ রয়েছে যে গ্রুপের মানুষের সংখ্যা গোটা পৃথিবীতে সর্বসাকুল্যে ৪৫ জনেরও কম। অবিশ্বাস্য হলেও এটিই বিশ্বের বিরলতম রক্তের গ্রুপ। রক্তের এই গ্রুপ ‘গোল্ডেন ব্লাড’ নামে পরিচিত। ১৯৬১ সাল থেকে চিকিৎসকেরা মনে করছেন রক্তে ‘আরএইচ’ ফ্যাক্টরের অভাবে কোনও মানুষই বেঁচে থাকতে পারেনা। ১৯৬১ সালে এই বিরলতম রক্তের গ্রুপের তথ্যটি সামনে এসেছে। রক্তে ‘আরএইচ’ ফ্যাক্টরের অভাবে লোহিত রক্ত কণিকা অ্যান্টিজেন, প্রতি রক্তের গ্রুপে একই রকমের অ্যান্টিজেন থাকে। কোনও মানুষের রক্তের গ্রুপ বা বিভাগ তখনই দুর্লভ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যখন অ্যান্টিজেন থাকেনা যা ৯৯ শতাংশ মানুষের মধ্যেই থাকে। রক্তদান করতে গেলে সেই মানুষের রক্তের বিভাগ জানতে পারা যায়। যাদের রক্ত নেগেটিভ ‘আরএইচ’ থাকে তাদের কোনও ভাবেই পজেটিভ রক্ত দেওয়া উচিৎ নয়। যদি তাই করা হয় শরীরের অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি অ্যান্টিবডির ফলে রক্তে পার্টিক্যালগুলি সযুক্ত হয়না। ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ও মৃত্যুও হতে পারে। বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মধ্যে গোল্ডেন ব্লাডগ্রুপ বা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে এই গ্রুপের রক্তের তাই এই গ্রুপের রক্তের প্রয়োজনীয়তা সব সময়েই বেশি থাকে। এই দুর্লভ গ্রুপের রক্ত পৃথিবীজুড়ে মাত্র ৪৩ জনের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। ব্রাজিল, জাপান, আয়ারল্যান্ড, আমেরিকা রয়েছে। রেয়ারেস্ট বা অত্যন্ত দুর্লভ রক্ত যাদের রয়েছে ডাক্তার তাদের সব সময়ে রক্তদানে উৎসাহিত করে থাকেন কেননা কাডে লাগলে প্রয়োজনে রক্ত পাওয়া যায়। অনেক কম লোকেদের এই গ্রুপের রক্ত আছে যাদের। ১৯৫২ সালের একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে যার থেকে জানা গেছে, পৃথিবীজুড়ে মাত্র ৪ জনের এই রক্ত ছিলো। তবে এই গ্রুপ দুর্লভ তবে দুর্লভতর হল ‘গোল্ডেন গ্রুপ’।