পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ অবিলম্ভে ভোলার গ্যাস দক্ষিনাঞ্চলের জনগনকে বঞ্চিত করে ঢাকায় সরবরাহ করার চুক্তি বাতিল করপ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলের কারখানায় ও আবাসিক খাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেয়ার দাবীতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্বাক্ষরসহ স্মারক লিপি প্রদান কর্মসূচী পালিত।
বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পশ্চিম গেটের সামনে ভোলার গ্যাস রক্ষায় দক্ষিনাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক আন্দোলন কমিটির আহবায়ক মোতালেব মোল্লা, যুগ্ম আহবায়ক মুফতী সালাউদ্দিন, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট জহিরুল আলম সবুজ, যুগ্ম সচিব মাহাফুজা ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক শিরিন নাহার প্রমুখ।
পরে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে উক্ত দাবীতে পাঁচ হাজার নাগরিকের স্বাক্ষর সহ এক স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম এর কাছে হস্তান্তর করেন নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দেয়া স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন ভোলার উৎপাদিত গ্যাস দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের একটি আশার আলো সৃষ্টি করেছিল। ১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুরে সর্বপ্রথম গ্যাস আবিষ্কারের পর পর্যায়ক্রমে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর ও নতুন আবিষ্কৃত ইলিশা -১ গ্যাসক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোং লিঃ (বাপেক্স) এর তত্ত্বাবধানে মোট ৯টি কূপে প্রায় ৩টিসিএফ গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। এ গ্যাস দক্ষিনের মানুষকে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখালেও ১৯৯৬ সালে সালেইউনিকল প্রস্তাবিত রীপ প্রকল্পের আওতায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভোলার গ্যাস অন্যত্র সরবরাহের পরিকল্পনা হয়। এ প্রকল্পের চুক্তি ছিল অসম ও জনস্বার্থবিরোধী। গণআন্দোলনের মুখে এই অসম চুক্তি বাতিল হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব ৮ ফেব্রুয়ারী বরিশালে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশাল সমাবেশে ভোলার গ্যাস বরিশাল বিভাগে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতির সম্পূর্ন বিপরীতে দক্ষিনাঞ্চলের গণদাবীকে উপেক্ষা করে সরকার চলতি বছরের ২১ মে বেসরকরী কোম্পানী ইন্ট্রাকোর সাথে ভোলার গ্যাস ঢাকা, আশুলিয়া, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ অন্যান্য স্থানে সরবরাহের জন্য ১০ বছর মেয়াদী চুক্তি করা হয়েছে। এ চুক্তি পটুয়াখালীসহ দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নের স্বপ্নকে বহুগুনে পিছিয়ে দেয়ার সামিল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে কৃষি ভিত্তিক বহুমুখী ও রপ্তানীযোগ্য শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপদিতে হলে গ্যাস ভিত্তিক ইপিজেড তৈরী ও শিল্প- কলকারখানাশ স্বল্পমূল্যে গ্যাস সরবরাহের কোন বিকল্প নাই। একই সাথে আবাসিকখাতে স্বল্পমূল্যে গ্যাস সংযোগ দিলে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন নিয়ে আসা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনেকগুন এগিয়ে যাবে বলে স্মারকলিপিতে নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পটুয়াখালীর নাগরিক আন্দোলন কমিটি
Related Posts
শোক সংবাদঃ
আমরা গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, জাতীয় মানব সেবা সংস্থার কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক মুহম্মদ আলতাফ হোসেন স্যার একটু আগে মুগদা…
স্বাধীন গণমাধ্যমের অন্তরায় কালা কানুন বাতিল করতে হবে-মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান
তন্ময় কুমার তনু, স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের অন্তরায় যাবতীয় কালা কানুন বাতিল করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রধান উপদেষ্টা, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নজরুল গবেষক রাষ্ট্রচিন্তক,…