মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ

সাম্প্রতিক বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে অন্তর্গত রঘুনাথপুর গ্রামে জনতা বাজার ”জাতীয় মানব সেবা সংস্থার” জমি যবর দখলের অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে, একই এলাকার প্রভাবশালী অবৈধ ব্যবসায়ী ফজলু কাজী এলাকার কিছু বাড়াটে লোক নিয়ে জাতীয় মানব সেবা সংস্থার জমি জবর দখলের পায় তারা করছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ থাম থামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মুন্সী ও পিতা মৃতঃ মোঃ আব্দুল আজিজ মুন্সী সং রঘুনাথপুর, তিনি জমির মালিক হিসেবে স্থানীয় জাতীয় মানব সেবা সংস্থার দাতা ও স্থায়ী সদস্য হিসেবে তার পৈাত্তিক সম্পত্তি সংস্থায় দান করেন এবং সংস্থার উন্নয়ন কল্পে বিশেষ বিবেচনার সাথে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে তিনি সংস্থার সকল সদস্য- সদস্যদের পক্ষে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দের আবেদনের পরিপেক্ষীতে, রঘুনাথপুর জনতা বাজার রাস্তার পূর্ব পাশে দুশমী খালের চরবরাটত কৃর্ত জমি দাগ নং—- খতিয়ান নং-১৮৪ মোট ২৫ শতাংশ জমি দাগ নম্বর ৬২৭৭/৬২৭৭ খতিয়ান নং ১৪৪ জে এল নং-২০ সংস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শন পূর্বক উপজেলা সাব রেজিস্টার কর্মকর্তার মাধ্যমে সংস্থার সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জমি দাগ নং ৬২৭৭ /৬২৭৭ খতিয়ান নং ১৮৪ সম্পত্তি “জাতীয় মানব সেবা সংস্থায়” স্বীকৃতি জমি রেকর্ড করে দেন।
উক্ত দলিলকৃত জমির উপর ১৯৯৯ ইং সালে স্থাপিত ”জাতীয় মানব সেবা সংস্থা” নামে একটি আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ২০০২ ইং সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও ২০০৮ ইং যুব-ক্রিয়া অধিদপ্তর কর্তৃক সরকারিভাবে অনুমোদন লাভ করেন । সংস্থার কার্যক্রম বৃহত্তর বরিশাল জেলা ব্যাপি থাকলেও প্রাথমিকভাবে উক্ত সংস্থাটির কার্যক্রম বাকেরগঞ্জ উপজেলায় শুরু করা হয় । এবং স্থানীয় কার্যালয় রঘুনাথপুর অবস্থিত। উক্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতালগ্ন থেকে এ যাবত সরকারি ও দাতা সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষণ পরিচালনা, সহ সরকারি-বেসরকারি বহু কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে । এ উপলক্ষে সরকারি –বেসরকারি, জেলা- উপজেলা থেকে স্থানীয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিদর্শন, আগমন উদযাপন মূলক বেস কিছুকার্যক্রম এর উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রয়েছে।
কিন্তু সংস্থার উন্নয়ন গল্পে এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ, যুবক প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার শুভলগ্নে কিছু ক্রিনাল মহলের প্রলোভনে আত্ম লোভী ফজলুল কাজী গং লোক অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য উক্ত সংস্থার জমি দখলের পায় তারা চালাচ্ছে। এদিকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সমালোচনা হয়, কোন সুরাহা না পেয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষ গত ৪/১৫/২০১২ ইং তারিখ থানায় ১২-১২/ ১২ একটি মামলা দায়ের করেন ১৫-৯-২০১৩ ইং তারিখ মামলা চলাকালীন এএসআই সাখাওয়াত হোসেনের সাথে লেনদেনের ভিত্তিতে আসামির পক্ষে একটি মিথ্যা রিপোর্ট দাখিল করেন। ———–
মামলা চলাকালীন অবস্থায় ভূমি দখলকারী আসামি রাঘববোয়াল কালোয়, ব্যবসায়ী, অহংকারী ফজলুল কাজী বিভিন্ন ভাবে সদস্যদের হয়রানি ও অস্রের ভয়ভীতি দেখায়। এই পরিপেক্ষিতে সংস্থার অভিযোগ আদালতে আনলে নিয়ে গত ১৫/১০/২০১৪ ইং তারিখ সময় জারি করে নির্দেশ ফরমান যে, উক্ত সংস্থা দলিলকৃত জায়গায় কোন প্রকার কাজ না করার জন্য বাকেরগন্জ ওসি /ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে উক্ত জায়গা পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় এলাকার ব্যক্তিরা জানান যে, ফজলু কাজী এলাকায় আসলে তার মদধে বাজারে গোপন স্থানে চলে নানান রকমের অপ্রতিকার ঘটনা ,অপকর্মের দৃশ্য। যাহা আগে কখনোই ছিল না।
এদিকে কোড থেকে নির্দেশ দেওয়ার পরে ২৭-১০ ১৪- তারিখে ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেব সরজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ফজলু কাজীর সকল অপকর্মের বাস্তব সততা প্রকাশ পায় এবং ওসি সাহেব সকল বাস্তবতা প্রকাশ পেয়ে উপজেলা ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি অবহিত করেন তদন্ত করার জন্য। সেহেতু, ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা তিনি ২২-১০১৪ ইং তারিখে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নিয়ে সে স্থানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে, তার ভূমি দখলের যে অপকর্ম তার সত্যতা বাস্তবে শতভাগ নিশ্চিত করেন। একপর্যায়ে ভুমি বিষয়ক কর্মকর্তা স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে বলেন যে, জায়গাটি সরকারি এবং জনসাধারণের জন্য ’’জাতীয় মানব সেবার সংস্থায়” দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে সেটি একক ব্যক্তির নামে গ্রহণ করার কোন বিধান বা সুযোগ নেই। তাছাড়া ফজলুর রহমান কাজী এই এই জমির দাগ নং খতিয়ান নং এর কোন মালিক বা অংশীদার নেই । এটি একটি ভুমি জবরদখল করা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
যখন দেখে ফজলু কাজী সব ঘটনা অন্যদিকে যাচ্ছে,তখন বিভিন্ন আলাপ আলোচনায় আনতে এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য লোকজন মিলে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তিনি একটা সিদ্ধান্ত নেন এবং ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা ও ওসি সাহেবের কাছে জোর দাবি করেন যে, এলাকায় মিটিং এর মাধ্যমে কোর্টের কাছে সময় চাই। এর পরিপেক্ষিতে গত ১০-১০-২০১৪ ইং তারিখ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মোঃ মোতাহার মৃধা, রাজ্জাক মৃধা, রশিদ মৃধা, হাবিব গাজী, বশির কাজী, বশির মৃধা বসির খান ও সংস্থার সদস্য /সদস্যা ও কর্মকর্তারা এলাকার শতাধিক ব্যক্তিরা মিলে আসামির বাসায় সালিশের ব্যবস্থা করেন। প্রধান আয়োজক ছিলেন মোতাহার মৃধা ও বশির মৃধা।

উক্ত শালিশীতে বিভিন্ন আলোচনা হয় সে সব আলোচনায় ফজলু কাজীর কাছে কোন গুরুত্ব নেই বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ জনগণ । এলাকার সাধারন মানুষের বিভিন্ন আলোচনাতে সকল সিদ্ধান্ত ফজলু কাজীর বিপক্ষে যায়। একপর্যায়ে কোন সিদ্ধান্তই ফজলু কাজী মেনে নিতে রাজি নয়। একপর্যায়ে এলাকার সকল মানুষের চাপে মোতাহার মৃধা ও ফজলু কাজির যোগ থ সাযে আসামির প্রধান সালিশ সিদ্ধান্ত নেয় যে, ৫০ (পোঞ্চশ )হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে দিব । তাও কোন মতে মেনে না নিয়ে বা বিতর্কের মাঝে ফজলু কাজী ৩০ ( ত্রিশ ) হাজার টাকা সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেন। তাও আবার ক্যাশ টাকা নয়, চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে । উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড এর একটি চেক লিখে দেন যাহা পরবর্তীতে এক মাসের পর উত্তোলন করা যাবে । আরও শর্তসাপেক্ষে থাকে যে ,এক মাসের মধ্যে উভয় পক্ষের কেস /মামলা তুলে ফেলতে হবে। এছাড়া উক্ত ৩০ ত্রিশ হাজার চেক প্রদান করার সিদ্বান্ত হয় । যাহা সালিশ মোতাহার মৃর্ধার কাছে জমা থাকবে একমাস পরে চেক দেওয়ার জন্য।

একপর্যায়ে একমাস গত অতিবাহিত হওয়ার পরেও জমির কর্তৃপক্ষেকে, সালিশ মোতার মৃধা কোন চেক বুঝিয়ে দেয় নি । চাইতে গেলে বলে ফজলু কাজী চেক দিতে নিষেধ করেছে । এতে এলাকার গণ্যমান্য সালিশ সদস্য/ সদস্যবৃন্দ সকল, সদস্যরা খোব প্রকাশ করেন । সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন এবং এতে খুব ক্ষুব্ধ কাজী সংস্থার বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান গাজী, সাবেক সভাপতি মাওলানা মোস্তফা কামাল, দাতা সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন সহ কয়েকজনের এর বিরুদ্ধে বিদ্যআঙ্গুলি দেখিয়ে, মিথ্যা হয়রানি, মানহানি মূলক মামলা দায়ের করেন । যাতে এরা কোন প্রতিবাদ করতে না পারে।

উক্ত মামলা দায়ের করার পরে, এলাকার সদস্য / সদস্য সহ সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই এবং রাস্তাঘাটে, জনতা বাজার, পাড়া মহল্লায় আলোচনা হয় যে, এর বিচার করার দরকার।আরও জানায় যে, ফজলুল কাজী এলাকায় কোন কার্যক্রমা করে চেয়ারম্যান হতে চাই এটা ধর জনসাধারণে দাবি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ভূমি দখলদার ও সমাজের অপরাধগ্রস্ত ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের প্রতি সকল মহল থেকে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন।