মোহাম্মদ জাকির হোসেন বরিশাল জেলা প্রতিনিধি  বরিশাল জেলা বাকেরগঞ্জে অবৈধভাবে সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ও ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত বাকেরগঞ্জ উপজেলা জুড়ে যেন চাঁদাবাজীর মহোৎসব চালাচ্ছে এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।প্রশাসনের নাকের ডগায় হচ্ছে এসব চাঁদাবাজি!এসব চাঁদাবাজি কোন কিছুতেই যেন থামছে না!দিনে-দিনে চাঁদাবাজির হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। চাঁদা সংগ্রহকারীরা চাওয়ার সাথে সাথে চাঁদা না দিলে ব্যাটারি চালিত অটো রিস্কা জব্দ করে রাখে!এই চাঁদা চক্রের সদস্যরা এমন কিছু অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। বাকেরগঞ্জে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন বিহীন ট্রলি থেকে মাসিক চাঁদা,বাসস্ট্যান্ডে নির্ধারিত টার্মিনাল না থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন প্রতিটি পরিবহন থেকে পার্কিং এর নামে গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা চাঁদা,ও প্রতিটি ট্রাক থেকে ৮০-১২০ টাকা চাঁদা,ও থ্রি হুইলার থেকে ৩০-৫০ টাকা চাঁদা ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা থেকে ২০টাকা চাঁদা আদায় করছে। বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা,এবং দিনভর ও রাতভর ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলনের টাকায় পকেট ভারি করছে এই চক্র!কারা এরা জানতে চায় জাতি!এ নিয়ে পুরো বাকেরগঞ্জ উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। সরকারিভাবে কোন বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার ব্যবহার করে গায়ের জোরে চলছে চাঁদা সেন্টিকেট।১’বছর আগে ট্রাকের টোলটি ছিল বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে প্রশাসন তৎপর ব্যবস্থা নেওয়ার পরই ট্রাকের চাঁদা কিছুদিন বন্ধ ছিল!তবুও থামেনি চাঁদা উত্তোলন! বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা বন্ধ রাখলে!কিছুদিন আবার যেতে না যেতেই। ফের আবারও বরিশাল-বরগুনা সড়কের বাকেরগঞ্জের ভিআইপি কলোনী গেট নামক স্থানে তারা দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা উত্তোলন করছে!রাস্তা ছোট হওয়ায়,অন্যদিকে বড় বড় ট্রাক থামিয়ে দুই-তিন মিনিট করে দাঁড়িয়ে রাখায় বরিশাল বরগুনা সড়কে বাকেরগঞ্জ থেকে ঢুকতেই সৃষ্টি হয় যানজটের! এত সরু রাস্তা যেখানে দিন দিন এক্সিডেন্ট দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়-ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার চাঁদা সংগ্রহের নির্ধারিত কোন টোল স্থান নেই!তাদের এই চাঁদা উত্তোলনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে শুরু করে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সকল সড়কের যেকোনো জায়গায় বসে অটো রিকশার চাঁদা নেয় ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। এই চাঁদা সংগ্রহ করার জন্য রয়েছে তাদের ২০’জনের ও বেশি জনবল। আরও দেখা যায় তাদের কেউ কেউ আবার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে, কেউ কেউ বাস স্ট্যান্ডের বিভিন্ন সড়কে হেঁটে হেঁটে কেউ কেউ আবার অটোতে ঘুরতে ঘুরতে অটোর চাঁদা উঠায় আবার কেউ কেউ থ্রি হুইলার আলফা থেকে চাঁদা উঠায়। এগুলো প্রশাসন সারাদিন দেখলেও প্রশাসনের সামনে থেকে উত্তোলন করলেও থানা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়।এযেন রামরতত্ত্ব কায়েম করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- বাকেরগঞ্জ পৌরসভা আওতা থেকে শুরু করে পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা তুলছে এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে!! এ সময় সাংবাদিকরা চাঁদা উত্তোলনের চিত্র ও ভিডিও চিত্র ধারণ করা শুরু করলে চাঁদা উত্তোলনকারী নাসির নামক এক ব্যক্তি বারবার সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করতে বলেন এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং আঙ্গুল নাড়িয়ে কথা বলে!এবং বলে (মেয়র সাহেব)ও কালাম ডাকুয়ার কাছে অফিসে গিয়ে কথা বল!জানা যায়-মেয়র সাহেব হলেন-লোকমান হোসেন ডাকুয়া,তিনি বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র,কালাম ডাকুয়া বাকেরগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি!এখানে আসো কেন!আমার কাছে কি তোদের!এসব বলে স্থানীয় এক সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক আজকের ভোরের কন্ঠের-মফস্বল সম্পাদক,দেশ চ্যানেলের বরিশাল বিভাগীয় প্রধান,দৈনিক সংবাদ বরিশালের প্রকাশক ও সম্পাদক সুমন ভূঁইয়া’কে হুমকি দেয়। এ সকল চাঁদাবাজি বন্ধে-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,বরিশাল জেলা প্রশাসন,বরিশাল জেলা প্রশাসন, বাকেরগঞ্জ থানা প্রশাসন’সহ বাংলাদেশের সকল উপরস্হ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভুক্তভোগী ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা সর্বস্তরের জনগণ ও অসংখ্য ট্রাক চালকরা। অবিলম্বে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই চাঁদাবাজ সেন্টিকেটের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাকেরগঞ্জবাসী। উল্লেখ্য:-এ সকল চাঁদাবাজির বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল দাস ও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান’কে সাংবাদিকরা চাঁদাবাজির বিষয়টি অবহিত করলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন,এবং আরও বলেন এ সকল চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত যারা তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।