এস, এম, মাসুম। নিজস্ব প্রতিবেদক। সারাদেশে চলমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের খাতায় যুক্ত হল আরো একটি নাম- আলিফ। পুরো নাম- মোঃ আলিফ আহমেদ। গত ৫ আগস্ট আন্দোলন চলা কালে ঢাকায় ঘাতকের গুলিতে নিহত হন তিনি। আলিফ জাহাঙ্গীরনগর ডেইরি ফার্ম হাই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পৈত্রিক নিবাস বাগেরহাটের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে। পিতা- মোঃ বুলবুল হাওলাদার এবং মাতা- তানিয়া আহমেদ। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আলিফের নাম উচ্চারণ করতেই বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন তারা। তিনিই তার এই শহীদ সন্তানকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে শরীক হন। গত ৫-৮-২৪ গুলিবিদ্ধ হবার পর আলিফকে রাজধানীর এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ-তে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে গত ৭ আগস্ট, ২৪ সন্ধ্যা ছয়টায় তার মৃত্যূ ঘটে। শহিদ আলিফ কিশোর বয়স থেকেই তার অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। তাই মৃত্যূর ভয় আছে জেনেও নিয়মিত ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতেন আলিফ; স্বপ্ন দেখতেন একটি বৈষম্য বিরোধী স্মার্ট বাংলাদেশের। তার সেই স্বপ্ন আজ পূরন হয়েছে কিন্তু তার সুফল ভোগ করে যেতে পারলনা আলিফ; ঘাতকের গুলি তাকে শাহাদাতের দরজায় পৌঁছে দিয়ে গেল। শহীদ আলিফের মামা ডাঃ কামরুল শিকদার সংবাদ চিত্রকে বলেন, আলিফের মৃত্যূতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং একই সাথে গর্বিত যে আমাদের আলিফ দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। মৃত্যূ অন্তে শহীদ মোঃ আলিফ আহম্মেদ এর প্রথম জানাজার নামাজ সাভারের ইসলামনগর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে, দ্বিতীয় জানাজার নামাজ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় ও ০৮-০৮-২০২৪ তারিখ সকাল নয়টায় বাগেরহাটে তার নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাজার নামাজ শেষে তাকে সেখানেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দফন করা হয়।