উচ্চপ্রু মারমা,রাজস্হলী রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃরাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ঐতিহ্যবাহী বাজারটি একটি অন্যতম স্থান। বাজার উপর দিয়ে রাঙ্গামাটি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি যাতাযাতের এক মাত্র মাধ্যম। তেমনি রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বান্দরবান জেলায় চলাচলের প্রধান সড়ক। রাস্তাটির পাশ ঘেঁষে রয়েছে দশমাইল মুক্তিযোদ্ধা বাজার ও রাজারহাট বাজার। বিশেষ তিনটি দিকে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্রগ্রাম যাতায়াতের অন্যতম বাঙ্গালহালিয়া সিএনজি অটোরিকশা ও বান্দরবানের বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে একটু বৃষ্টি পড়লেই পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বৃষ্টির পানি গুলো বাজারে উপর দিয়ে পতিবাহিত হয়। অন্য দিকে বাজারে অধিকাংশ বেক্তি মালিকানা ও সরকারি জায়গা গুলোতে মার্কেট ও বিল্ডিং তুলে সকলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাজারে সরকারি ড্রেন গুলো। এতে করে উপরের থেকে পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানি চলাচলের নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গুলো বেক্তি দখলে চলে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই বাজারে প্রধান সড়কের মাঝ খানে হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। বৃষ্টির সময় এমনটা দেখা যায় অনেকে জাল দিয়ে মাছ ধরছে।রাস্তায় মাছ পেয়ে খুশি অবার অনেকেই। তবে বাসস্ট্যান্ড, ডাকবাংলা পাড়া, শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির পিছনের পাড়া রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। রাস্তার ১ থেকে আধা কিলোমিটার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় হাটু পানি। ফলে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে রাস্তার কোথাও হাটু সমান পানি কোথাও তার চেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। শুক্রবার সকালে বাঙ্গালহালিয়া ওয়ার্ড মেম্বারদের সাথে নিয়ে ডাকবাংলা পাড়ার জলবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা। সরকারি খাস জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ ও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাসহ বাজারের পাশে খালের দুই পাশে অবৈধ দখল প্রতিযোগিতার এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। বাঙ্গালহালিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বলেন, বাঙ্গালহালিয়া বাজার একটি জনবহুল বাজার।প্রায় ৫৫০ টি বড় ছোট দোকান পাঠ রয়েছে। আমরা ছোট কাল থেকে দেখে আসছি একটু বৃষ্টি হলেই বাজারে হাঁটু সমান পানি উঠে যায়। বাজারে দীর্ঘ দিনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। তাতে করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছোট হয়ে যাওয়া ঢলের পানি পানি বাজারে ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে একটি জেলা সংযোগ সড়কের এমন অবস্থা খুব দুঃখজনক বলে জানান।
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পুলক চৌধুরী বলেন, বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বান্দরবান বাস কাউন্টারের সামনে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুইটি ফাইব দিয়ে ছিলো তৎকালীন সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ইসিবি।পরে সড়ক সংস্কার করার সময় দুইটি ফাইবের মধ্যে একটি ভরাট হয়ে যায়। সেখান থেকে পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থার কারণে এমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন। ইউপি সদস্যা বাপ্পী দেব বলেন পূর্ব দিক থেকে ঢলের পানি গুলো চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঙ্গালহালিয়া বাজারের পাশে ঘেঁষে এবং কেন্দ্রীয় দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পিছন দিক থেকে। দিন দিন পানি নিষ্কাশনের রাস্তা গুলো বেদখল হয়ে যাওয়াই একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের প্রায় এক হতে দের শত পরিবারের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । বিশেষ করে ঢলের পানিতে ঘরের উঠান থেকে শুরু করে বসত ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা মাননীয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন রাজস্থলী মতবিনিময় সভায় আসলে আমি আমাদের দুর্ভোগের বিষয় উপস্থাপন করেছি। বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন বাঙ্গালহালিয়া ডাকবাংলা পাড়াটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিন দিন বসতি সংখ্যা ও বেড়ে চলছে। উপরের থেকে নেমে আশা বৃষ্টির পানি গুলো সঠিক ভাবে নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন গত কয়েক মাস আগে বিষয়টি সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করলে তিনি নিজে এসে বাঙ্গালহালিয়া বান্দরবান কাউন্টারে সামনের কালভার্ট নির্মাণের জন্য মাপ জোপ করে গেছেন বলে জানান।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা আসলেই বাঙ্গালহালিয়া বাজার সহ আশে পাশের বেশ কয়েকটি পাড়া বসবাস ভিটা পানিতে ডুবে থাকেন। তাই বাঙ্গালহালিয়া দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পাশ ঘেঁষে বান্দরবান বাস কাউন্টার পর্যন্ত একটা বড় পরিসরে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটা ড্রেন নির্মাণ করা জরুরি। এবং কাউন্টারের সামনে পানি নিষ্কাশনের ফাইভ গুলো তুলে ফেলে দ্রুত গতিতে একটি বড় কালভার্ট নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।