এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ – চট্টগ্রাম জেলা :- ভারতে শুল্কবৃদ্ধির খবরে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে চট্টগ্রামের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা খাতুনগঞ্জে। একদিনেই কেজিতে বাড়ানো হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শুল্কবৃদ্ধির খবরে সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। অনেক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী মজুত করা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে পরে বেশি দামে বিক্রির আশায়। দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এক রাতের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৮ থেকে ২২ টাকা। আর খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ব্যবসায়ীদের দাবি—পেঁয়াজ রপ্তানির ভারত সরকার। ভারতের অভ্যন্তরে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। ভারতের শুল্ক আরোপের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে এক লাফে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো শুল্ক দিতে হতো না বাংলাদেশকে। তবে হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় দেশটি। শনিবার বিভাগের উপসচিব অমরিতা টিটুসের সেই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার থেকে এটি কার্যকর হয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানা গেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, স্থলবন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে আমদানির পর খাতুনগঞ্জের আড়তে আনা হয়। তাদের নির্ধারিত দামে কমিশনের ভিত্তিতে আড়তে বিক্রি হয় পেঁয়াজ। হিলিতে দাম বাড়ায় আড়তেও দাম বেড়েছে। রোববার সকালে নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী মার্কেটের দোকানদার কর্ণফুলী ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী মোহাম্মদ শফি বলেন, ‘আগের দিন পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দামে। কিন্তু আজ সকালে এসেই খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম শুনে চোখ ছানাবড়া হয়েছে। কারণ খাতুনগঞ্জেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা শোনার পর আমরাও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে ৭০ টাকায় বিক্রি করছি।’