বরিশাল জেলা প্রতিনিধি, মোহাম্মদ জাকির হোসেনঃ
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের এলেম উদ্দিন হাওলাদেরের প্রতিবন্ধী পুত্র ভূমিহীন ছলেমউদ্দিন হাওলাদার তিনি পৈত্রিক সূত্রে ভিটেমাটি শুন্য। প্রায় ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছেন কালিগঞ্জ বাজারে অসহায় ওই প্রতিবন্ধীর কথা চিন্তা করে বরিশালের ডিসি মহোদয় প্রায় ১২ বছর অাগে কালিগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে চর থেকে ৫০ শতাংশ জমি প্রতিবন্ধী ছলেম উদ্দিন এর নামে ডিসিঅার দেয়।
প্রতি বছর সরকারের খাজনা দিয়ে অাসলেও ৫০ শতাংশ জমি থেকে তাদের দখলে রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ বাকি জমি রয়েছে ভূমিদস্যুদের দখলে।
প্রতিবন্ধী ছলেম উদ্দিনের কন্যা রিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, অামার পিতা একজন প্রতিবন্ধী আমাদের নিজেদের কোন জায়গা জমি না থাকায় বরিশালের ডিসি মহোদয় আমাদের কালিগঞ্জ বাজারে ৫০ শতাংশ জমি প্রায় ১২ বছর অাগে ডিসিঅার দিলেও কালিগঞ্জ বাজারের কাশেম মুন্সির পুত্র রানা মুন্সি জমি দখল করে বসত বাড়ি নির্মান করেছে।
এ বিষয়ে অামার পরিবার বাধা দিলে অামাদের বিভিন্ন রকমের হুমকি ধামকি ও প্রান নাশের আশঙ্কা দেখা দিলে আমরা বাকেরগঞ্জ থানায় দুই-দুবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এছাড়াও ভরপাশা খেজুরার সাহেনেওয়াজ, রহম গঞ্জের রুস্তম আমাদের জমি জবর দখল করে দুইটি দোকানঘর নির্মাণ করেছে।
তথ্যসুত্রে, কালিগঞ্জ বাজারের সরকারি টল ঘরের মধ্যে অর্ধশত ছাগল পালন করে অাসছে কাশেম মুন্সির পুত্র ইয়াবা ব্যাবসায়ি রানা মুন্সি। যাহার কারনে বাজারের মধ্যে নোংরা পরিবেশে ব্যাবসায়ীরা চরম ভোগান্তির শিকার।
সরেজমিনে আরো জানা যায় ইয়াবা ব্যাবসায়ি রানা মুন্সির পিতা কালিগঞ্জ বাজারে বসবাসরত কাশেম মুন্সী একজন পেশাদার ডাকাত। বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকায় তাহার নামে পূর্বে ডাকাতি মামলা ছিল। বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ক্লার্ক মঞ্জু হত্যার অন্যতম আসামি এই কাশেম মুন্সী চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ডের মামলা এখনো চলমান।এছাড়াও রানা মুন্সি ভরপাশা থেকে কালিগঞ্জ বাজারে অাসার যে ব্রিজ তার নিচে সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে ছাগলের খামার গড়ে তুলেছেন।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ হাট ইজারাদার ও স্থানীয় মেম্বার হেমায়েত মৃধা জানান, রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন কে বিষয়টি বারবার অবগত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি।