ভিক্টর বিশ্বাস চিতা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বহু দিন ধরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিভিন্ন নামী-দামি কোম্পানি ও ব্র্যান্ডের ওষুধ নকল, ভেজাল পন্থায় তৈরি ও বাজারজাত করে আসছে। এ খাতে লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে নকল ওষুধ তৈরির কারখানা ও গোডাউন। গোয়েন্দা, র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ওষুধ প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাকে ভয়াবহ বললে কম হবে। ভেজাল ও নকল ওষুধ সেবন মানুষের মৃত্যুঝুঁকি করোনার চেয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। রোগাক্রান্ত মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করে কিন্তু নব ও নিম্নমানের ওষুধ খেয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ভালো চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। রোগী ও রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর আস্থা হারিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রত্যাশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। জেল, জরিমানা, গোডাউন সিলগালা করেও এই অপতৎপরতার সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। অপরাধের সাথে যুক্ত কেউ গ্রেফতার হলে আদালতের প্রভাবশালী ও বড় আইনজীবীর প্যানেল নিয়োগ করে জামিনে বেরিয়ে যায় এবং আবার শুরু করে ভেজাল ব্যবসা। অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীদের টাকার অভাব নেই, বিনিয়োগের পুরোটাই লাভ। ভেজাল ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে ময়দা, চকপাউডার ও প্রিজারভেটিভ যা মানহীন সোডিয়াম বেনজোয়েট ও বেনজয়িক এসিড থেকে তৈরি। ভেজাল ওষুধের ইনগ্রিডিয়েন্টসে মূলত প্রয়োজনীয় কোনো সক্রিয় উপাদান থাকে না। নন-ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া নিম্ন গ্রেডের মেইন স্টার্চ, স্টেরয়েড ও ডাই (রঙ) ব্যবহার করা হয়, যা মানবদেহের ভাইটাল অর্গানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে ‘এটি গণহত্যার শামিল’।
ডেঙ্গু, করোনা, ক্যান্সার, ফুসফুস প্রদাহ, মস্তিষ্কের যন্ত্রণা, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ,