মেহেদী হাসান, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি (ঢাকা কলেজ):
আজ সকাল ১১ টায় রোজ বৃহস্পতিবার ১২-০৯-২৪ইং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা নগর শাখার উদ্যেগে মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশ নিশ্চিত এবং ভাড়া কমানোর দাবিতে প্রেস ক্লাবে ছাত্র সমাবেশ করা হয়।সমাবেশ শেষে ৬ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন।সমাবেশে নগর ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি নওশীন সাথীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক সায়মা,আফরোজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাহিয়ান রেহমান রাহাত এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পঙ্কজনাথ সূর্য।এক পর্যায়ে বক্তারা বলেন, মেট্রোরেলের লাইন-৬ চালু হওয়ার পর ২০২৪ এর শুরু থেকেই ভাড়া কমানো এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশ কার্যকর করার দাবিতে ঢাকায় দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে, মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
কিন্তু ছাত্রদের এই দাবি ও আকাঙ্খার প্রতি কোনো বিবেচনা না করেই উল্টে সরকার মেট্রোরেলের সেবা ও টিকিটের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে আগের ভাড়া আরো বাড়ানোর কথা ভেবেছিল। অথচ আমরা জানি, বিভিন্ন দেশে রেলসহ বিভিন্ন গণপরিবহন সরকার ভর্তুকি দিয়ে চালায়।আমরা যদি মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর উদ্দেশ্য দেখি- সেখানে বলা হয়েছে, “জনসাধারণকে স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত ও উন্নত গণপরিবহন সেবা প্রদান” এবং এই আইনের ১৮/২ ধারায় মেট্রো রেলের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে মেট্রোরেল পরিচালনার ব্যয় এবং জনসাধারণের আর্থিক সামর্থের বিষয়গুলো বিবেচনার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার নিজের তৈরি আইন ও বিধিমালাই অনুসরণ করেনি। এই অবস্থায় আমরা বলতে চাই, যানজটের শহর ঢাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত মেট্রোরেলের দ্রুতগতির, নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবহন সেবা পাওয়ার অধিকার ঢাকার সর্বস্তরের জনগণের। ফলে মেট্রোরেল যেন শুধুমাত্র সামর্থ্যবান শ্রেণীর মানুষের বাহনে পরিণত না হয় এবং সর্বস্তরের মানুষের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যানজট নিরসনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনা করে এবং প্রতিবেশী দেশের নগরীগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে মেট্রোরেলের ভাড়া হ্রাস করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। একই সাথে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশ নিশ্চিত করার দাবি জানাই।