এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

দক্ষিণ চট্টগ্রাম সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় টানা বৃষ্টিবর্ষণের ফলে ও পাহাড়ি ঢলে সাতকানিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ডুবতে শুরু করে। পরবর্তীতে রেললাইন পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর রেললাইন উঁচু-নিচু ও বাঁকা হয়ে যাওয়া এবং লাইন থেকে পাথর ও মাটি সরে যাওয়া দৃশ্যমান হয়। এ পরিস্থিতির জন্য অপরিকল্পিত রেলপথ নির্মাণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞ ও এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, ছোট ছোট রেলপথে ছোট ছোট কালভার্ট পানিনিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ অঞ্চল দিয়ে পাহাড়ি এলাকার ঢল দ্রুত নেমে এসে সাগরে গিয়ে পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন এ ধরনের বৃষ্টি আরও হবে। তখন রেললাইন আবার ডুববে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে অঞ্চলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখান দিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে এসে সাগরে গিয়ে পড়ে। রেললাইন নির্মাণের সময় তা বিবেচনা করা দরকার ছিল। এখন রেললাইন করায় পানিনিষ্কাশনের পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপকতা বেড়েছে। মানুষকে যেমন ভুগতে হচ্ছে, তেমনি রেলের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। সাতকানিয়ায় বাণ্যার পানিতে ভেসে গেছে রেললাইনের পাথর ও মাটি। উঁচু-নিচু হয়ে পড়েছে রেললাইন। এলাকা ও বিলে পানি জমে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের এলাকার এমন ভয়াবহ বন্যা হয়নি। রেললাইনের কারণে পানিনিষ্কাশনের পথ আটকে যাওয়ায় তাদের এলাকার বাড়িঘর ডুবে গেছে। যদি রেললাইনে পর্যাপ্ত কালভাট বা সেতু নির্মাণ করা হতো, তাহলে এত ক্ষতি হতো না।