আজকে আমরা কেউ ভালো নেই, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের দাবি দাওয়া সবকিছু অগ্রাহ্য করছে বতর্মান সরকার

অথই নূরুল আমিন

রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টার কাছে গত পাঁচ মাস ধরে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দাবিতে ছোট ছোট করে মিছিল শ্লোগান অথবা মানববন্ধন করছে। এতে বতর্মান সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোন সাড়া দিচ্ছে না।
বিদেশে অবস্থানরত রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পর্যন্ত আন্দোলন করছে। বিমান ভাড়া কমানোসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে।

না। সরকার বধিরের ভূমিকা পালন করছে। সরকারের নীরব ভূমিকা দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে। সরকারের ভূমিকা যেন অমানবিক। সরকার যদি সর্বক্ষেত্রে এরকম বধির হয়ে থাকে। তাহলে সাধারণ জনগণের মাঝে সরকারের প্রতি অবিশ্বাস ভাব জন্ম নেবে।
এদিকে বতর্মান সরকারের কাছে দেশের মানুষেরা ন‍্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশের অসংখ্য সাংবাদিক আজকে তাদের সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা হারিয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা চরম ভাবে অবনতি দেখা যাচ্ছে। সরকারের নীরবতা দেখে খুব ভয় হচ্ছে। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা?

সরকার না বলছে নির্বাচনের কথা। না বলছে জাতির আগামী ভবিষ্যতের কথা। এখনো চালু হয়নি। দেশের বন্ধ হওয়া বিভিন্ন ভাতা। শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করার মত কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না । এখন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন। তারা কিন্তু সেই সময় ক্ষমতায় বসেছেন। যখন একটি স্বৈরশাসনের সরকারের পতনের পর।

আমি মনে করি। দেশের প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বতর্মান সরকারের নজর দেয়া উচিৎ। দেশের জনগণ এখন কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি বিশ্বাসই নয়। তারা চাচ্ছেন। বতর্মান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্যা জনিত বিষয়গুলোকে সমাধান করার পরই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুক বতর্মান সরকার। আমি মনে করি বতর্মান সরকার শিক্ষা সেবা স্বাস্থ্য সেবা বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারি খাতে ঘুষ নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করে গেলে। বতর্মান সরকারের সবাই দেশের জনগণের কাছে সুনাম ও প্রশংসা পাবেন সারাজীবন।

অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
১০.০২.২০২৫