এস.এম.মাসুম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ শনিবার রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ শেষে আগামীকাল সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সমাবেশকে ঘিরে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে সংঘর্ষের কারণে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। আজ দুপুরে সমাবেশস্থল থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে শনিবার সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়া পল্টনে। বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে, কাকরাইলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শান্তিনগর ও কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সেসময় সড়কে পিকআপ ভ্যানে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভুয়া’ ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পিকআপ ঘিরে ফেললে দু-দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে কিছুক্ষণ। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুরে পুরো কাকরাইল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রধান বিচারপতির বাস ভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশের একটি দল সাঁজোয়া যানসহ এগিয়ে আসতে থাকে নয়া পল্টনের দিকে। সেখানে টিয়ার শেল ছোড়া হয়। ১০ মিনিটের ব্যবধানে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের তোপের মুখে পুরো এলাকা নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা নেমে যান মঞ্চ থেকে। তখনই রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।