![](https://doiniksongbadchitro.com/wp-content/uploads/2023/07/received_595502062784481.jpeg)
![](https://doiniksongbadchitro.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
জুনেদ বিন ফরিদ,জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ ১০ মহররম সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিলো এক বিষাদময় ঘটনা। অন্যায় অবিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং ব্যথিত করে। সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমাময় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।অন্যায়, অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। এটাই হচ্ছে ইসলামের মূল শিক্ষা। মহানবী (সাঃ) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যেকোন গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখা অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ক্ষমতার প্রতি নিবিড় নিবিষ্ট মোহে আচ্ছন্ন থেকে যারা ন্যায়—নীতি—ন্যায্যতাকে অগ্রাহ্য করেছিল তাদের বিরুদ্ধেই ইমাম বাহিনী মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে লড়াই চালিয়ে গেছেন। কারবালায় ইমাম বাহিনীর শাহাদাৎ বরণ সর্বকালে দেশে দেশে বর্বর দু:শাসনের কবল থেকে মুক্ত হতে মজলুম মানুষকে প্রেরণা যোগাবে।আমি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ এবং কারবালার সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।