এমকে আলম চৌধুরী, চট্রগ্রাম ব্যুরোঃ

কক্সবাজারে চলতি রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন করেছে প্রান্তিক চাষিরা। যার পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন। যা বিগত ৬৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানা যায়। এ রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে গত দুই মাসের অধিক চলা তীব্র দাবদাহের কারনে। চাষীরা জানান এ প্রান্তিক মৌসুমে অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হওয়ায় তারা ন্যায্য মুল্য প্রাপ্তি থেকে বন্চিত হচ্ছে। বিসিকের লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মহাব্যবস্হাপক জাফর উল্লাহ ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলার সদর,টেকনাফ, পেকুয়া মহেশখালী, ঈদগাঁও চকরিয়া ও কুতুবদিয়া যে পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা যাবে। তবে লবণ চাষীরা বলছেন উৎপাদনের প্রথম দিকে যেভাবে লবণের ন্যায্য মুল্য পাওয়া গিয়েছিল, ব্যাপক হারে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে মুল্য অনেক কমে গিয়েছে। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন। ২৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে বর্তমানে লবণ চাষ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায়ও লবণ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। গত বছর ৬৬হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে লবণ উৎপাদন করা হয়েছিল ২২লাখ ৩৩ টন। চলতি বছর লবণ চাষীর সংখ্যা ৪০হাজার ৭০০জন। গত বছর ছিল এ সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪০০ জন। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে লবণ চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১হাজার ৩০০ জন। গত বছর লবণের ন্যায্য দাম পাওয়ায় চলতি বছর চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও চাষীদের নিরাপত্তা এবং লবণের ন্যায্য মুল্য পাওয়ায় চলতি বছর লবণ চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য গত বছর লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ছিল ৬৬হাজার ৪২৪ একর। বর্তমাণ মৌসুমে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়িঁয়েছে ৬৮ হাজার ৩০০ একর। যা গত বছরের তুলনায় ২হাজার ১২৪একর। এবছরের শেষ মৌসুম পর্য্যন্ত আরও ২/৩ লাখ টন লবণ উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যায়।