এম,ডি সাইদুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জঃপাগলা মসজিদের ৮টি দান সিন্দুকে দিনভর গননা শেষে পাওয়া গেল ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা। যা অতীতের সব রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গহনা।১৯/৮/২৩ ইং শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে ২৩টি বস্তায় পাওয়া যায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ। এবার ৩মাস ১৩দিন পর খোলা হয় মসজিদের দান সিন্দুক।উল্লেখ্য যে গত ৬ মে ২০২৩ ইং মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯ বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া যায়।ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত আসা মানুষজন দান করে থাকে। অনেকের ধারনা এ মসজিদে দান করলে মনো-বাসনা পূর্ণ হয়। তাই এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ দান করে থাকেন। প্রতি তিন মাস পর পর দান বাক্সগুলো খুললে পাওয়া যায় টাকা-পয়সা, বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণা এবং রুপার অলংকার। এছাড়াও প্রতিদিনই গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগীসহ অনেক কিছুই দান করে থাকেন এ মসজিদে।টাকা গণনার কাজে ‘টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১৩৮ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৬০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অংশ গ্রহণ করে।