মোঃ মুকুল হোসেন,কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়ায় ‘মজা’ কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন।বুধবার (১২ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন এক শিশুর বাবা। দুই শিশুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এক শিশুর মা বলেন, ‘আমার স্বামী ও দেবর খাজানগরে অটো চাল মিলের শ্রমিক। দুপুরে তাদের খাবার দেওয়ার জন্য আমি মিলে যাই। বাড়িতে আমার ৫ বছর বয়সী ও দেবরের ৩ বছর বয়সী শিশুকন্যা ছিল। এই সুযোগে তাদের মজা কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী জমির হোসেনের ছেলে ষাটোর্ধ্ব সোবাহান হোসেন। নিজ ঘরে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। পরে তাদের হাতে ৫ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।‘বাড়িতে ফিরে এসে দেবরের মেয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনার কিছু বিবরণ দেয়। আমার মেয়ে পালিয়ে থাকে। তাকে খুঁজে বের করে আদর করে জিজ্ঞাসা করলে সোবহান কাকা তার সঙ্গে কী করেছে তা জানায়। বিষয়টি নিয়ে সোবাহানের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে মেয়েরা তলপেটের নিচে ব্যথা অনুভব করলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করি।’শিশুর বাবা বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মিলে ছিলাম। বাড়ি থেকে বিষয়টি জানালে আমি আমার ভাইয়ের মেয়েকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করি। সোবহানের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছি।’কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে দুই শিশু ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রির্পোট পাওয়ার পর ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলা যাবে।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শিশুর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।