মোঃ মিঠু মিয়া, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণা জমে উঠেছে। তবে উৎকন্ঠা, আশংকা বিরাজ করছে উপজেলাজুড়ে। কেন্দ্র দখলের আশংকাও রয়েছে প্রবল।২১মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিতহবে।এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান পদত্যাগী উপজেলাচেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ প্রধান, অপরদিকে ৫ নং সাপমারা ইউনিয়নের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান মোঃ শাকিল আকন্দ বুলবুল উভয় ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।ভাই চেয়ারম্যান পদে গোবিন্দগঞ্জ সদ্য পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তাজু, সাবেক ছাত্রনেতা ও গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটি আহবায়ক মোঃ আব্দুল মতিন মোল্লা, সাবেক ছাত্রনেতা মেসবাহ নাহিফুদৌলা মন্ডল প্রিন্স, মোঃ তৌফিকুল ইসলাম পাপন এবং নাকাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বর মাহাবুর রহমান মাবুদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন, সদ্য পদত্যাগকারী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম, উম্মে জাহান রিংকু, মোসাম্মৎ মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন সুইটি,,সাথী আক্তার, পাপিয়া রায় পাখি, ফাতেমা বেগম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ও প্রচারণা চালাচ্ছেন ‌।চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।বর্তমান পদত্যাগী চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ প্রধান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ এলাকার সাধারণ জনগণের আস্থাভাজন।তিনি মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এবং ভোটারদের সমর্থন আদায় করে চলেছেন।তিনি এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আস্থাভাজন।অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও সদ্য পদত্যাগী সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাকিল আকন্দ বুলবুল মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাকে সমর্থন করে যাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জননেতা আব্দুল লতিফ প্রধান লিখিত অভিযোগ করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট। ফলে পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি রয়েই যায়।এছাড়াও আব্দুল লতিফ এর পক্ষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা ও কর্মীরা প্রকাশ্যে কাজ করছেন।সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফররহমান চৌধুরী,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোকাদ্দেস আলী প্রধান বাদু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম তাজু, কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ শফিক মাহমুদ গোলাপ, ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান শিবলু, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম , কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেক নেতা কর্মী এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, সৈনিক লীগ, তাঁতী লীগসহ অনেক জনপ্রতিনিধি তারা এক সাথে প্রচারণা চালাচ্ছেন।অপরদিকে বর্তমান এমপি মহোদয়ের অনেক সমর্থক ও কাছের লোক,আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল, পৌর মেয়র,নাকাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খ ম সাজু সহ অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃশাকিল আকন্দ বুলবুল এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে একসঙ্গে প্রচারণা চালাচ্ছেন।ফলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এ উপজেলায় থাকছে না বলে স্খানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।এতে করে নেতাকর্মী সহঅনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রকাশ্যে ভোটের প্রচারে অংশগ্রহণ করছেন না বলেও একাধিক সূত্রে দাবি করছেন।অনেকে আশংকা করছেন ভোটের আগে কোন প্রকার সংঘর্ষ না হলেও ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের প্রবল আশংকা রয়েছে। ফলে ভোটাররাও আতংকিত হয়ে আছেন।ভোটের দিন যতই আগায় আসছে নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ৯৬ টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো ভোটের দিন দখল হওয়ার আশংকা রয়েছে।স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, এসব ভোটকেন্দ্রে যেতে ভোটারদের বাঁধা প্রদান করা হবে , কেন্দ্র দখল, দলীয় প্রভাব, হুমকি-ধামকি প্রদান করা হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটার জানান, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আতংক বিরাজ করছে। বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্র দখল হওয়ার আশংকা রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।তবে একটি মহলের দাবি উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা কিংবা গোপনে বা প্রকাশ্যে ব্যালটে সিলমেরে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেজনবিস্ফোরণ ঘটবে । গণবিস্ফোরণ দমাতে পারবে না কেউ । তাই গণবিস্ফোরণ ঠেকাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সর্বস্তরের শান্তিপ্রিয় জনগণ।ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি সর্ম্পকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন- সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দলের প্রার্থী কেউ না। নাম ভাংগিয়ে একটা গ্রুপ নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করছে।তিনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অংশগ্রহণমূলক ভোটগ্রহণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন মোল্লা বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হলে তিনি শতভাগ বিজয়ের আশা প্রকাশ করেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতা বেগম এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন ভোট শান্তিপূর্ণ হবে বলে তার বিশ্বাস।এলাকায় ঘুরে জানা গেছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হলে জনগণ কেন্দ্রে যাবেন, অন্যথায় তারা ভোটে যাবেন না ‌। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোবিন্দগঞ্জ মহোদয় কে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে সচেতন মহল দাবি জানিয়েছেন।