এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনে ও রাতে মিলিয়ে প্রচণ্ড গরমের মাঝে ভয়াবহ লোডশেডিং বেড়ে গেছে। অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। রাতে-দিনে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামে গড়ে ৮-১০ ঘণ্টাও লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় দিনে ১২ ঘণ্টাও লোডশেডিং চলছে। গ্রামের অবস্থা আরো খারাপ। একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘণ্টা পার হলেও আসে না। আবার বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ থাকার পরই আবার চলে যায়। এতে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরের বাসিন্দারা।
রমজানের শুরু থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে নগরজুড়ে। দিনে-রাতে বেশিরভাগ সময় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী। ইফতারের টাইমে, তারাবী নামাজের টাইমে ও সাহরির টাইমে লোডশেডিংয়ের তীব্রতা বেশি। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো বেচাকেনা করতে কষ্ট হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনো লোডশেডিং নেই, বরং চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে। কোথাও লোডশেডিং হয়ে থাকলে তা স্থানীয় কোনো সমস্যা।
৫ এপ্রিল (শুক্রবার) রিয়াজুদ্দিন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে কথা বলে বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানার চেষ্টা করি। নগরবাসী বলছে, রমযানে তাপদাহে জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর দিন নাই রাত নাই লোডশেডিং। বিদ্যুত এই আছে এই নাই। রেয়াজুদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুত আসা যাওয়া করছে বহুবার। গরমের কারণে দোকানে বসা যাচেছ না। গরমে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে দিনে। তেল কিনে জেনারেটর চালিয়ে ব্যবসা চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা শিশুদের। বিদ্যুৎ না থাকলে শিশুরা ছটফট করে। মায়েরা শিশুদের চার্জিং ফ্যানের বাতাস দিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষন ঠিকে না। বিদ্যুৎ আসার আগেই চার্জিং ফ্যানের পাওয়ার শেষ হয়ে যায়। বই-খাতার মলাট দিয়ে বাতাস দিতে হচ্ছে শিশুদের। পর্যাপ্ত বাতাস না পেলে শিশুরা ঘেমে যায়। এতে শিশুদের শরীরে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। ফলে শিশু ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে।