সবুজ শিকদার,জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাটঃ

বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে।বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বারবার হয়রানি শিকার হচ্ছে হামলাকারী ও দখলদারদের নিকট থেকে।কোনভাবেই সমাধান হচ্ছেনা জমির বিরোধ। দফায় দফায় মামলা-হামলা করে নিঃস্ব করে দিচ্ছে অসহায় মানুষদের। বিচারের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও যেন কোন লাভ হচ্ছে না। হামলা ও দখলকারীদের খুঁটির জোর এতটাই যে তারা বিচারের ফয়সালাকে তোয়াক্কা না করেই বারবার হামলা ও জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হাড়িয়ারঘোপ এলাকার সুফিয়া বেগমদের পরিবারের উপর। বাগেরহাটে চিতলমারীতে জায়গা দখল, ভূমি জালিয়াতি ও নানান অপকর্ম। একশ্রেণীর অসাধু দুষ্কৃতিকারীদের মদদে এসব কাজ করে বেড়াচ্ছে দখলকারী মহলটি।তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দরকার বলে দাবি করেন সচেতন মহল।রাতের আঁধারে এক নিরীহ পরিবারের জমিতে ঘর তুলে জবর দখল করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশী মিজানুর কাজীর বিরুদ্ধে।গত মঙ্গবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার ১নং বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের হাড়িয়ারঘোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী সুফিয়া বেগম বলেন, ৩নং হাড়িয়ারঘোপ  মৌজার এস,এ,২৬৩,২২৭নংখতিয়ানের৭৪২,৭৬৩,৭৬০/৭৬৩,৭৭১/৪২৭০ নং দাগের এক খন্ডের ০.৩৯ একর যাহা চৌহদ্দি উত্তরে-নদী, দক্ষিণে- সেকেন মোল্লা, পূর্বে-কবির ফকির এবং পশ্চিমে-নিলু সরদার, ওই মৌজার এস,এ,১৭৫ নং খতিয়ানের ১৩০৩,১৩০৪ নং দাগের ০.৯১ একর মধ্যে ০,১২ একর।যাহার চৌহদ্দি উত্তরে-বেলায়েত,দক্ষিণের- নজরুল কাজী, পূর্বে- মিজানুর কাজী নিজে, পশ্চিমে-নব আলী কাজী। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। আমাদের নামে জমি থাকা সত্বেও  দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। স্থানীয় ভূমিদস্যু মিজানুর কাজী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আঁধারে সেই জমিতে ঘর তুলেছে।আমরা বাধা দিতে গেলে তার সন্ত্রাস বাহিনী দেশি অস্ত্র নিয়ে হত্যা ও জখমের ভয় দেখায়।তখন আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করি।এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান  জানান, ওই জায়গাটা মূলত আমার দাদার। সুফিয়া বেগম জমিটা আমার দাদার কাছ থেকে বন্ধক হিসেবে নিয়েছে। এখন আমরা জমিটা ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করে।স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিক মোল্লা বলেন,আমরা জামেলা চাইনা, শান্তি চাই।স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার জন্য কয়েক বার এ বিষয় নিয়ে বসা বসি  হয়েছে।সুফিয়া বেগমরা কোন ভাবেই হাজির হয় না।এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ক্যাম্পের এএসআই ইফরান জানান,এ বিষয় নিয়ে কোর্টে ১৪৪ ধারা চলতেছে।এবং দুই পক্ষইকেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।