চিরন বিকাশ দেওয়ান, রাঙামাটি প্রতিনিধি : বিফুল উৎসাহ উর্দ্দিপনার মধ্যদিয়ে, ধনপাতা বনবিহার রাঙামাটি সদর উপজেলায়, শুভ আষাঢ়ী পূর্নিমা উদযাপন উপলক্ষে,ভিক্ষা সংঘের মধ্যে প্রধন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য বৌদ্ধ মিশনের সভাপতি ভদন্ত শ্রীমৎ সুমনাল্কার মহাস্থবির ভান্তে, আষাঢ়ী পূর্নিমা উদযাপন উপলক্ষে, যা আলোচ্য সুচীর মধ্যে ছিল,ভোর সকালে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ ও প্রবজ্যা ধারি শ্রমন সহ অষ্টশীলাদের ভোজন সালায় পিন্ডু পানিয় দান,বৌদ্ধ পতাকা উত্তোলন,বুদ্ধ পুজা প্রদান,মূল বিহার হইতে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ মঞ্চে আগমন,পরে দায়ক দায়িকা উপাসক উপাসিকা পূর্ণ্যাথীবৃন্দ,বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘ হতে, সমবেত পঞ্চশীল প্রার্থনা ও ভিক্ষু সংঘ কতৃক শীলে পরিপূর্নতা আর্শীবাদ সহকারে বুদ্ধ মূর্তিদান,সংঘদান অষ্টপুরস্কার দান, ভিক্ষু সংঘের তিন মাস বর্ষাব্রত কালে সকল প্রাণীর হিতসুখ মঙ্গল কামনার্থে ধ্যান সমাধী ভাবনা ব্রতের জন্য (১)চীবর( ২)অন্তবাস( ৩)প্রতিবন্ধনী (৪) যা প্রতিজন ভিক্ষু গনের পরিহিত গেরুয়া বর্সন নতুন একসেট চীবর দানীয় কার্য্য সম্পাদন,স্বধর্ম দেশনায় ছিলেন ধনপাতা বনবিহারাধক্ষ্য ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞাবোধি স্থবির, বিহার কমিটির পরিচালনা পর্ষদ এর সভাপতি ও ১১৮ নং ধনপাতা মৌজার হেডম্যান রুপায়ন চাকমা, প্রধান অতিথি প্রধান আকর্ষন স্বধর্মের দেশক, প্রধান অতিথি ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ সুমনাল্কার মহাস্থবির ভান্তে, তিনি তার ধর্মদেশনায় বলেছিলেন বৌদ্ধধর্মের জ্ঞান চর্চা করা সকলের অতিব গুরুত্বপূর্ন, বৌদ্ধধর্মের জ্ঞান অর্জন করতে না পারলে সে কখনো বুদ্ধিস নন,অজ্ঞান মানুষ বুদ্ধিস হতে পারে না,বুদ্ধ এক সময় কচি নগরে তার ধর্ম দেশনায় বলেছিলেন অহিংসায় পরম ধর্ম, তাহা আমাদের সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে ও সবসময় বলে গেছেন তার দেশনায়,বুদ্ধ তার বানীতে কি কি বলে গেছেন? প্রাণী হত্যা মহাপাপ,চুরি করা থেকে বিরত,মিত্যা বাক্য বলা থেকে বিরত,মাতাল যা পান করে মানুষ মনুষ্যত্ব জ্ঞান হারাই তা পান করা থেকে বিরত,বেবীচার করা হতে খুব সাবধান,যেকোন প্রাণীর মাংস বিক্রি বা ব্যবসা করা থেকে বিরত, সাধারণ গৃহিদের পঞ্চশীল প্রতি পালন করা, এই পঞ্চশীল রক্ষাকারী একজন উপাসক উপাসিকা কি কি গৃহে লাভ হয় তার ব্যখ্যা করে বলেছিলেন,সত্যের পথে চলো,অবিদ্যা পরিহার কর,ঠিক বুদ্ধ জ্ঞান লাভ করতে পারিবেন,মৃত্যুর পরে কে কি করেছো,তার জবাব দিতে হবে, সকলে বুদ্ধেরবানী কথা অনুসরণ কর,সকলের মঙ্গল হবে,সুখে থাকবে।