মোঃ আজগার আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় লোকনাথ নার্সিং হোম ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক প্রসূতি মায়ের সেজার করা কেন্দ্র করে ক্রটিপূর্ণ চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের জীবন মৃত্যুর মুখে পরিবারের লোকজন দিশেহারা হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সানিয়া নামে বয়স ( ২২) বছর এক রোগীকে সিজারের জন্য ১লা সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬:১০ মিনিটে ভর্তি করা হয় ক্লিনিক মালিক পুলক বাবু আসবে আসবে বলে রোগির সজন দের বসিয়ে রাখে । কিন্তু সাত ঘন্টা পার হয়ে গেলো কোন ডাক্তার আসেনি পরে রোজিনা নামে এক নার্স সানিয়ার সন্তান কে ডেলিবারী করে । কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর মা নাসিমা বেগম জানান গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে আমার মেয়েকে পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ক্লিনিকে ভর্তি করি পরে ক্লিনিক মালিক পুলক বাবু বলেন ডাক্তার আসছে বলে ৭ ঘন্টা আমাদের বসিয়ে রাখে পরবর্তীতে ক্লিনিকের একজন নার্স আমার মেয়েকে নরমাল ডেলিবারি করায় তখন থেকে আমার মেয়ের সন্তান আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। এই ক্লিনিকে অনেক হত্যার ঘটনা শুনেছি তাই আমরা তাকে বারবার বলেছি আপনারা ডাক্তার এনে ডেলিভারি করান কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে একজন সামান্য নার্সকে দিয়ে ডেলিবারি করিয়েছে। আমরা সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনা সকালে জানাজানি হওয়ার পর। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন পেজে বিষয়টি নিয়ে লাইভ দেখানো হয়। এ সময় ক্লিনিকে কর্মরত নার্সেরা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। বিষয়টি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের নজরে আসলে তিনি সাথে সাথে তালা উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব সরদার কে নির্দেশ দিলে তিনি সরজমিনে তদন্তে আসেন। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা পান বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে। তিনি বলেন বিষয়টি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগষ্টিক সেন্টার ক্লিনিকের মালিক পুলক বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান একজন রোগীকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য এমনি সময় নিতে হয় তাই আমার চেষ্টা করেছি।
এ ব্যাপারে তালা উপজেলার সাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব সরদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন – আমি এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট দিবে।
এদিকে ক্লিনিক এর পরিচালক পুলক কুমার পাল জানান, আমাদের কোন দোষ নেই। বাচ্চা অসুস্থ হলে আমরা খুলনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে ভর্তি করেছি।