জীবন রহমান -ঝিনাইদহঃ 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুত্রবধূকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় পিতার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাহানারা বেগম নামে এক নারী। সোমবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের সময় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাহানারা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, আমার ছেলে মোঃ রাজিব হোসেন (২৪) ও একই ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম (মাষ্টার) এর কন্যা জান্নাতুন নুর মৌমিতা (১৮) কে আমাদের অজান্তে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ছেলে-মেয়েদের সুখের কথা চিন্তা করে সবকিছু মেনে নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রেজাউল ইসলামের কাছে গেলে চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর তারা মেয়ে তালাক করিয়ে নেয়। কিছুদিন পর আমার সন্তান রাজিবকে বিদেশ পাঠিয়ে দিই। আমার ছেলে বিদেশ থাকা অবস্থায় জান্নাতুন নুর মৌমিতা আবার আমার বাড়ীতে চলে আসে। তখন আমি মেয়ের বাবাকে সংবাদ দিয়ে ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দিই। আমার ছেলে বিদেশে থেকে ছুটিতে বাড়ীতে আসলে মৌমিতা আমার ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে আবারো বিয়ে করে। এবারো মেয়ের বাবা রেজাউল মাষ্টার ও মেয়ের বোনাই শিমুল নির্যাতন করে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে মৌমিতাকে নিয়ে যায়। একদিন পর মেয়ে আবার আমার ছেলের সাথে পালিয়ে এসে আবার বিয়ে করে এবং প্রায় দুইমাস সংসার করে। এ সময়ে মৌমিতার গর্ভে সন্তান আসে। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা কৌশলে মেনে নেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নেয় এবং মৌমিতাকে তার মতের বিরুদ্ধে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। নিজ স্ত্রীর বিয়ের সংবাদে রাজিব হোসেন মনের কষ্টে আবারো বিদেশ চলে যান।এদিকে জান্নাতুন নুর (মৌমিতা) কে জোর পূর্বক বিয়ে দেওয়ায় গত ২৯ জুলাই বিষপান করে আত্মহত্যা করে। মূলত আত্মহত্যা নয় তাকে তার বাবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করেন রাজিবের মা জাহানারা বেগম। এছাড়া মৌমিতা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার পরিবারকে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন এবং হয়রানী করে যাচ্ছে রেজাউল মাস্টার। বর্তমানে আমরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। ঠিকমত খাওয়া, ঘুম ও চলাফেরা করতে পারছি না বলেও উল্লেখ করেন জাহানারা বেগম। জাহানারা বেগম জানান জান্নাতুন নুর (মৌমিতা) আত্মহত্যা করার পূর্বে একটি চিঠি লিখে রেখে যায় তার পরিবার চিঠিটি সরিয়ে ফেলেছে।