সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ- মোঃ মাহ্ফুজুল হক খান (জিকু):-  কিশোরগঞ্জে সাসপেন্ডকৃত পুলিশ কনষ্টেবল হাফিজুর রহমান সোহাগ (৪৫) ‘র কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতন এবং নির্মিতব্য প্রবাসীর তৈরি হওয়া নতুন বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি সহ অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ও ন্যায় সঙ্গত আইনী সহযোগিতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই ভুক্তভোগী নারী। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর পুলিশ লাইন সংলগ্ন মোকশেদপুর নামক এলাকায়। আজ সোমবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে গৌরাঙ্গ বাজারস্থ কিশোরগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিট এর কার্যালয়ে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী নাদিয়া আক্তার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ভুক্তভোগী হলেন ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার দিলালপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী দিলকুল ইসলামের স্ত্রী নাদিয়া আক্তার (৪১)। বর্তমান বসবাস-মোকশেদপুর পুলিশ লাইন সংলগ্ন , থানা+ জেলাঃ কিশোরগঞ্জ । সংবাদ সম্মেলন ও থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোকশেদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানাদী নিয়ে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি প্রবাসীর ক্রয়ক্রিত ভূমিতে বাসা নির্মাণের কাজ চলছে। তাই প্রতিদিন দেখভাল করার জন্য ভাড়া বাসা থেকে যেতে আসতে হয়। এই আসা যাওয়ার পথে অভিযুক্ত সোহাগ মিয়া নানা রকম উত্যক্তসহ কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি মান সম্মানের ভয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের জানাইনি। সংবাদ সম্মেলনে নাদিয়া আক্তার বলেন, গত ১৪ আগষ্ট সোমবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত রাজমিস্ত্রিরা হাফ বেলা কাজ করিয়া চলে যায় ফলে বিকাল ৪ টার সময় আমি একা কিশোরগঞ্জ মডেল থানাদিন মুকশেদপুর পুলিশ লাইন সংলগ্ন আমাদের নির্মানাধীন নতুন বিল্ডিং এর কাজ দেখতে যাই। আমি ভাড়াটিয়া ঘড় হইতে আমাদের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ে যাওয়ার পর নিরিবিলি পরিবেশ পাইয়া উক্ত সোহাগ তাহার ঘর হইতে আমাকে দেখিয়া আমার নির্মানাধীন বিল্ডিং এ আসিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে পিছন দিক হইতে জাবরাইয়া ধরে আমাকে শ্লীলতাহানি করে এবং আমার ঘরে থাকা প্লাস্টিকের পাইপ নিয়া বাহির হইয়া আমার বাম হাটুসহ আমার সারা শরীরে রক্তাক্ত নীলা ফুলা জখম করে । সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর দাবি জীবনের নিরাপত্তা ও আইনি প্রতিকার দাবি করেন নাদিয়া আক্তার। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হাসান সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা সত্য তবে কোন সাক্ষী এখন পর্যন্ত খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।