অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

উপজেলা নির্বাচন সরকারের একান্ত ইচ্ছায় ভোটার বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হলো। নৌকা মার্কা সরিয়ে নেয়া হলো। মন্ত্রী এমপি গণকে মাঠে না থাকা বা কারো পক্ষ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হলো। প্রতিটা উপজেলায় একাধিক প্রার্থী হলো। অথচ এর পরেও অভিমানী ভোটার গণ ভোট কেন্দ্রে এলো না। ভোটারদের এই অভিমান। বতর্মান সরকারের উপরে।দেশের সকল ভোটারেরা তথা জনগণ যেন বলির শিকার। ষাট ভাগ বাস ভাড়া বাড়িয়ে হুকুম জারি করে দিলো জনগণের উপরে।জন্ম নিবন্ধন এ যেন দেশের সকল জনগণকে কঠিন নির্যাতন চালিয়েছে। শিশুদের জন্ম করতে গিয়ে সারা দেশের জনগণ যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ যেন প্রাচীনকালের রাজা বাদশাহর চাবুকের আঘাতের চেয়েও বেশি।সরকারি স্কুল কলেজ কম থাকায়। দেশের ষাট ভাগ শিক্ষার্থী লেখা করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। এখানে যেন যেন কাটা বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে অভিভাবকদের।এছাড়া দেশে সরকারি বেসরকারি এমন কোনো হাসপাতাল নেই । যেখানে জনগণের কোনো কদর বা প্রাপ্ত সেবা আছে।এরমধ্যে দেশের সকল জনপ্রতিনিধির কাছেও জনগণ উপেক্ষিত। রয়েছে পুলিশি হয়রানি। আইনজীবীরা নিচ্ছে মক্কেলদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো ফি।ভূমি অফিস পাসপোর্ট অফিস সহ সকল অফিসে রয়েছে দালাল। রয়েছে ঘুষনীতি।এ হেন অবস্থায় জনগণ যখন সম্পূর্ণ এক বিষাদ ময় জীবনযাপন করছে। ঠিক এই সময়ে উপজেলা নির্বাচন। আজকে দেশের সরকার আমলা রাজনীতি নেতা সহ সব জায়গায় একমাত্র জনগণ উপেক্ষিত। জনগণের দুঃখ কেউ বুঝছে না।আজকাল পঞ্চায়েত দায় দরবারেও রয়েছে ঘুষের আদান প্রদান।সর্ব জায়গায় যেখানে জনগণ নিরুপায়। তাই সরকারের করা দেশ জুড়ে মেগা প্রকল্প সহ হাজারো প্রকল্প দেখেও জনগণ সরকারের সুনাম করছে না।প্রবাদে আছে পাটা শীলে ঘসাঘসি মরিচের দফা শেষসরকার করছে উন্নয়ন আর জনগণের জান শেষ।