উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্হলী রাঙ্গামাটি: 

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা সদর গাইন্দ্যা  ইউনিয়নে পোয়াইতু ও ম্রওয়া পাড়া সড়কের বেহাল দশা। জানাযায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের ঢলের পানিতে পাড়ার একমাত্র চলাচল সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় ভাঙ্গনসহ পাহাড় ধসের ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে একেবারে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দৈনিক রাজস্থলী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ একে বাড়েই বিচ্ছিন্ন। দৈনিক পাড়ার  শত শত লোকজন পায়ে হেঁটে দীর্ঘ সাত থেকে আট কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে উপজেলা সদরে বাজার সহ রাজস্থলী সরকারি কলেজ ও রাজস্থলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে পায়ে হেঁটে। রাজস্থলী সরকারি কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মংসিংউ মারমা বলেন গত কয়েকদিন ধরে কলেজে যাওয়ার সময় দুইটি পোষাক নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। বাবার তেমন টাকা পয়সাও নেই যে রাজস্থলী উপজেলায় একটি ঘর ভাড়া করে রেখে আমাকে লেখা পড়া করাবে। রাস্তাটি সচল থাকলে সকালে বাড়ির থেকে ভাত খেয়ে কলেজে গিয়ে আবার বিকালে বাড়িতে ফিরতে পারতাম।গত কয়েকদিন ধরে হেঁটে হেঁটে আশা যাওয়া করায় অসুস্থ হয়ে পরছি আমি সহ  অনেকে। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মেছাইনু মারমা বলেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী চলাচলের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ রাস্তাটি উপজেলা প্রশাসনের নিকট দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান। পাড়া কারবারি পাইসিউ মারমা বলেন পোয়াতু ম্রওয়া পাড়া একমাত্র রাস্তা টি দিয়ে তিনশ থেকে সারে তিনশ পরিবারের লোকজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। রাস্তাটি অর্ধেক পর্যন্ত ইট সলিং কারা হলেও টানা বৃষ্টিতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে এবং কাঁচা রাস্তা গুলো পাহাড় ধসে মাঠি রাস্তায় পাড়ে পাড়া বাসীর চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। বিশেষ করে পাড়ার ছাত্র-ছাত্রী ও পাড়াবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় এবং কৃষি কাজের উৎপাদিত পণ্য গুলো বাজারজাত করনে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে জানান। পোয়াইতু তুগ্ৰছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইওয়াইচিং মারমা বলেন অচিরেই বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা যে হারে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে রাস্তা সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নবনির্মিত বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও বিদ্যালয় ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বিশেষ করে রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ের আশার রাস্তা একে বাড়ে ধসে গেছে বলে বলে জানান। গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য থোয়াইউচিং মারমা বলেন পাড়াটি থেকে রাজস্থলী উপজেলা সদর একে বাড়ে কাছে মাত্র ৭কিলোমিটার।প্রবল বর্ষণে যে হারে রাস্তাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা বড় ধরনের প্রকল্প গ্ৰহন করা ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান। তিনি আরো বলেন উপজেলা সদর সংলগ্ন একটি এলকায় গত কয়েকদিন ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা একে বাড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। রাস্তাটি দুই তিন যায়গায় একে বাড়ে রাস্তা ও মাটি ধসে আলা হয়ে গেছে। দৈনিক পাড়ার ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী ও পাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য গুলো বাজারজাত করতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এবং একদিকে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎএর আলো থেকে বঞ্চিত পাড়াবাসি অন্যদিকে কিছুটা রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারলেও সেটিও গত কয়েকদিন ধরে কে বাড়ে বন্ধ হয়ে গেছে  বলে জানান।
গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা বলেন রাস্তাটির দুরবস্থার কথা শিকার করে বলেন গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর (পি আই ও) থেকে ইট সিলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। তবে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে এবং পাহাড় ধসে চলাচল  রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এলাকাবাসী চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ হাতে পেলেই দ্রুত মাটি সরানোর কাজ শুরু করবেন বলে জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন আমি সদ্য দায়িত্ব গ্ৰহন করছি। তবে পাড়ার রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের কথা শুনেছি। রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ চলিত অর্থবছরের ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর থেকে ৬০ লক্ষ টাকার কাজ চলছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চলমান রাস্তার কাজটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্ৰহন করে যানবাহন চলাচল উপযোগী করার জন্য কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাকে  লিখিত ভাবে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান