নিশাত তাবাসসুম, খুলনা প্রতিনিধিঃ
শিল্পীরা ছবি উপহার পেলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়। কারণ ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকে শিল্পীদের জীবনের শত স্বপ্ন। খুলনা আর্ট একাডেমি ২০০৩ সাল থেকে পরিচালনা করে অনেক সুন্দর স্মৃতি অতিবাহিত করে আসছে। আজও তেমনি একটি স্মৃতি জীবন ডায়রির পাতায় যুক্ত হল। যাকে নিয়ে এই স্মৃতি খুলনা আর্ট একাডেমির শিশুশিল্পী মিশরা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। সে অত্যন্ত কম কথা বলে। কিন্তু ওর মনে যে তার শিক্ষককে নিয়ে এত ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে এটা কখনো বুঝতে পারেনি কেউ । কিছুদিন আগে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে গিয়ে ওদের সাথে দেখা হয় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এর।মিশরার মা এবং বড় বোন সিনিয়া। বড় বোন সিনিয়াও মিলন বিশ্বাস এর ছাত্রী ছিল বর্তমানে সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার সাথে দেখা হওয়ার পরে ওরা মিলন বিশ্বাস কে ডেকে উনার সাথে ছবি তোলে। সেই ছবিটি এই রূপ ধারণ করবে তিনি কখনো জানতেন না। ৩রা মে ২০২৪ তারিখ মিশরার মা সিনিয়ার সাথে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এর একটি ছবি প্রিন্ট করে তাকে দিয়ে যায়। ছবিটি দেওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সমস্যা দেখা দেয় নি কিন্তু বাসায় গিয়ে ছবি নিয়ে ওর মায়ের কাছে দাবি করে সে মিলন স্যারের শিক্ষার্থী। তাহলে উনার ছবি না দিয়ে আপুর ছবি কেন দিয়েছো? এই নিয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত বাসায় খুব সমস্যা দেখা দিল দুই বোনের মাঝে। মিশরার মা এই সমস্যার সমাধান করার জন্য দ্রুত মিশরার সাথে মিলন বিশ্বাস এর একটি ছবি প্রিন্ট করে নিয়ে গত ৯ মে ক্লাসে আসে। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন এই শিশুদের ভালোবাসার মূল্যায়ন আমি কিভাবে করব জানিনা। তাই মিশরার জন্য আশীর্বাদ করি আদর্শ শিক্ষা নিয়ে জীবনে অনেক বড় হও। যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করে তারাই জানে শিশুদের কাছ থেকে কিছু পাওয়া কত আনন্দের এটা লিখে বা বলে বোঝানো যাবে না। তাই আমি সকল শিশুদের নিয়ে যেন বাকিটা জীবন এমন করে কাটাতে পারি।