মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী পূরণে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একাধিক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন ও কাজ চলমান রয়েছে। দৃশ্যমান উন্নয়মূলক কাজগুলো এগিয়ে চলায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তির পরিবেশ দেখা দিয়েছে।ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের দুর্গতি লাঘবে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছেন। এ সব কর্মকান্ডের মধ্যে বউদীর খেয়াঘাট টু কাঁকবাসিয়া বাজার গামী রাস্তার চলমান সলিং রাস্তার কাজ। বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে খেয়াঘাট পর্যন্ত, আনুলিয়া শম্ভু নাথের বাড়ি হতে খোলারডাঙ্গা মসজিদ গামী রাস্তা। বিছট প্রাইমারী স্কুল থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত ১৪০০ ফুট রাস্তার বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে খেয়াঘাট পর্যন্ত কাজের মধ্যে ৯২০ ফুট কাজ সম্পন্ন হয়েছে।১% থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩ লক্ষ ৫০০০ টাকা। ৫৮০ ফুট কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করা হয়েছে ৬০০ ফুট। এ ছাড়া এডিবি’র অর্থায়নে ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত প্রথম অংশের ৬১৬ ফুট রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এডিবির বরাদ্দে মধ্যম একসরা মাদ্রাসা হতে খালেক শেখের বাড়ি পর্যন্ত ৪৬০ ফুট রাস্তার সোলিং কাজ শেষ হয়েছে। রাজাপুর বৌ বাজার হতে মাদ্রাসা গামী রাস্তার প্রথম অংশের কাজ চলমান রয়েছে। ৬০০ ফুট রাস্তার জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা। আগামী ২ দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে জানাগেছে। আনুলিয়া শম্ভু নাথের বাড়ি হতে খোলারডাঙ্গা মসজিদ গামী ১০০০ ফুট রাস্তার মধ্যে ৪৫০ ফুট রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাকী রাস্তার সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ ৮০ হাজার টাকা।এ ছাড়া আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রচেষ্টা অব্যহত হয়েছে। রাস্তাগুলোর কাজ দীর্ঘকাল পর সম্পন্ন হওয়ায় ও বাকী চলমান কাজ শেষ হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি থাকবেনা। কেবল ভোগান্তি কাটবে তাই নয়, বরং ইউনিয়নের চিত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে এলাকাবাসী ধারনা করছেন।শ্রীউলা ও আনুলিয়া ইউনিয়নের মানুষ এ সব খেয়াঘাট ব্যবহার করে সংযোগ রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মানুষ গ্রীষ্ম মৌসুমে যানবাহন চালাতে ভোগান্তি পোহাত এবং বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ব্যবহার করা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ ইউনিয়ন পরিষদকে যথাযথ ভাবে পরিচালনার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করায় ইউনিয়নবাসী সাধুবাদ জ্ঞাপন করেছেন।