মো: ফরহাদ হোসেন, বগুড়া প্রতিনিধি: আমি সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী তরফদার। আমি এই মর্মে আপনাদের জানাতে চাই যে, গত ২০ সেপ্টেম্বর বগুড়া প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির কথিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সারিয়াকান্দি উপজেলার মামলাবাজ এবং একাধিক মাদক মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী আমিরুল মোমিন পিন্টু কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগ সমুহ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে পিন্টু কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য সমুহ মিথ্যা, সম্মানহানিকর এবং হয়রানি মূলক। আমি আমার বিরুদ্ধে পিন্টু কর্তৃক আনিত মিথ্যা অভিযোগ সমুহের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বসত আমিরুল মোমিন পিন্টু গং রা উদ্যেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার মানহানি করা সহ আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ধরনের কর্মকান্ডে লিপ্ত আছে এবং মিথ্যে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। আপনাদের জানাতে চাই, আমিরুল মোমিন পিন্টুর বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা সহ সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জরিত থাকার সত্যতা রয়েছে।

উল্যেখ্যঃ- আমি আমিরুল মোমিন পিন্টুর বোন বেগম তোফাতুন্নাহার এর নিকট হইতে ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে ৩.৬৬ শতাংশ জমি একটি সেমি পাকা ঘড় সহ ক্রয় করি এবং জমির খাজনা খারিজ বাবদ সরকারি অর্থ প্রদান করিয়া আসিতেছি। যাহার দাগ নং- ১১৬/৫৩১, উক্ত দুই দাগে পিন্টু গংদের অন্যান্য শরিক ও আমি সহ কাগজে কলমে সবার ৩৫ শতাংশ জমি দেখা যায়। কিন্তু সরেজমিনে সেখানে পাওয়া যায় ২৬ শতাংশ জমি। এমতাবস্থায় পিন্টু গংদের সাথে জমির সিমানা নির্ধারন ও প্রাপ্ত জমির সূ-স-ম বন্টন করতে চাইলে পিন্টু অসম্মতি জানায় এবং আমার নিকট পুনরায় টাকা দাবী করে। পরে আমি আমার ক্রয় ঘরটি অপসারণ করে নতুন স্থাপনা নির্মান করতে গেলে তারা পুলিশ কে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে বিভ্রান্তি তৈরি করে।উল্যেখ্যঃ- এর আগেও এই বিষয়ে পৌরসভা সহ সর্বমোট ৭বার স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন, মেয়র, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর, উকিল, সরকারি সার্ভেয়ার সহ বসিয়া মিমাংসা হইতে তাল বাহানা করে। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে পুলিশের সহায়তায় সিমানা সংক্রান্ত বিষয়ে মিমাংসার জন্য থানায় বসলে সেখানে থানা কর্তৃপক্ষ, পৌর কর্তৃপক্ষ সহ সুশীল সমাজের লোকজনের উপস্থিতে উক্ত বৈঠকে ফয়সালায় সম্মত হয় আমিরুল মোমিন পিন্টু। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮/০৯ ইং তারিখে দুই পক্ষের সার্ভেয়ার, জেলা পরিষদের সদস্য, মেয়র, কাউন্সিলর সমুহের উপস্থিতিতে তার ছেলে শাওনের অনুমতি ক্রমে সিমানা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আমি কাজ শুরু করি। কিন্তু পরে আবার পিন্টু বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলে পুনরায় বিশৃংখলা তৈরি করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ সেপ্টেম্বর বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে আমিরুল মোমিন পিন্টু। সেখানে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সকল সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে সত্য প্রকাশ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
মো: ফরহাদ হোসেন
০১৭৫৫৪২৭৭৯২