মোঃ সাদেকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রাত হওয়ার সাথে সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের দেখা মেলা না। আজ রাত ২টার দিকে মীর মোঃ মুন্নার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এমন ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে জেলার সচেতন মানুষ বিস্মিত হয়ে কমেন্টসের নানান বিষয় মন্তব্য করতে শুরু করেন।
দিনের বেলা ঠিক থাকলেও রাতের শিফট্ ভাগ হলে ডাক্তার তেমন থাকে না। ডাক্তার না পেয়ে গতকাল রাতে তাড়াশ থেকে নিয়ে আসা এক রোগীকে পাশ্ববর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় এমনটাই বলেছেন ভর্তি হওয়া সুমনার স্বামী রাকিব।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে জেলা য্বুলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব সরকার দলীয় কাজে উল্লাপাড়া থেকে আসার সময় হঠাত অসুস্থ হয়ে পরে। শিয়ালকোল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মীর মোঃ মুন্নাকে অবহিত করলে তিনি শহীদ এম.মুনসুর আলী মেডিকেল হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রোগীর অবস্থা আরো জটিলতা দেখা দিলে মীর মুন্নার আত্মচিৎকার ও ডাকাডাকিতে দরজার শিকল খুলে নার্স এগিয়ে এসে ডাক্তার নাই বলে চলে যেতে থাকে এমন সময় তাকে রোগীর অবস্থা বললে কর্তব্যরত ডাক্তারকে ফোন দেয়। দায়িত্বে থাকা ডাক্তারের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন আজকে ডাঃ আলামিন স্যার থাকার কথা কিন্তুু তিনি বাসায় আছেন। বারবার ফোন দিচ্ছি তিনি ধরছেন না পরে ফোন নাম্বার নিয়ে পুনরায় ফোন দিলে তার ফোনটি কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে।
ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমি এর সত্যতা পেলে জড়িত ডাক্তারের বিরুদ্ধে দ্রæত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উপ-পরিচালক ডাঃ কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তবে এটি খুবই দুঃখজনক। এখানে জরুরী বিভাগে ২৪ঘন্টা সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। ডাক্তার ও নার্সদের থাকার জন্য এসিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের করা নির্দেশনা দেওয়া আছে কোন ধরনের ডাঃ অসাধুপায় অবলম্বন করলে ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখনো নেওয়া হবে।