মোঃ সাদেকুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সদরের ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত তিন দিনে প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ভর্তি হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই শহরের একডালা, গয়লা, কোল-গয়লা ও ধানবান্ধী মহল্লার বাসিন্দা। হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বিস্মীত।
বুধবার ভোরে হাসপাতালে এমন বিরূপ পরিবেশ দেখা যায়। মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
সোমবার জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ডায়রিয়ার প্রকোপ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক স্থানীয় টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পানিতে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি।
পরে আক্রান্ত মহল্লাগুলোতে পানিদূষণের আশঙ্কা প্রকাশ করা হলেও কোনো প্রমাণ মেলেনি।
জানা যায়, সদর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় সারা বছরই নোংরা পরিবেশ থাকে। তার ওপর হঠাৎ দু’দিন থেকে ডায়রিয়া রোগীর আধিক্য বাড়ায় পরিবেশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কলেরার স্যালাইনস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বাইরে থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শামসুল আরেফিন সুজন জানান, রোগীর চাপ থাকায় রাতেও তাঁকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায় বলেন, গত রোববার থেকে হঠাৎ ডায়রিয়ার রোগীর চাপ বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওইসব এলাকায় সুপেয় পানি বা তাদের খাবার-দাবারে দূষিত কোনো কিছুর মিশ্রণ ঘটেছে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, একডালা, গয়লা, কোল-গয়লায় কয়েকটি টিউবওয়েল ও পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। দূষণের প্রমাণ মেলেনি। এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা বলেন, পৌরসভার পানির পাইপে দূষণ শনাক্ত হয়নি।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ১২টি সুপেয় পানির সোর্স পরীক্ষা করে কোনো জীবাণু মেলেনি। ডায়রিয়া কেন হচ্ছে তা নিয়ে কাজ চলছে।
সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, ‘আমাদের লোকজন জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে।