মো: জুনেদ, জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: রোববারের হরতালে সিলেটের রাজপথ ছিল বিএনপি’র দখলে। ওইদিন পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আর এ মামলায সিলেট বিএনপি’র প্রায় সিনিয়র সব নেতাই আসামি। ফের মামলার হুলিয়া নেতাদের ওপর। এরপরও তারা বিচলিত নয়। বরং রাজপথে আন্দোলন তীব্র করার ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা। জানিয়েছেন, মামলায় আসামি হয়ে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। এখন আর মামলা নিয়ে কোনো ভয় নেই। বরং নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে রয়েছেন। হরতালে সিলেটের রাজপথে হার্ডলাইনে ছিলেন সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে তারা মাঠে থাকবেন। এবং অবরোধ পালনে আরও সক্রিয় হবেন। ইতিমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করা নেতারা রোববার রাত পর্যন্ত সিলেটে এসে পৌঁছেছেন। গতকাল অবরোধ পালন নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন তারা। এসব বৈঠকে অবরোধ পালনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আর মামলা নিয়ে কোনো ভয় নেই। রোববারের হরতালে সিলেটের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল। অবরোধেও সমর্থন থাকবে। মানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবো। তিনি বলেন, পুলিশ এখন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দেখামাত্রই গুলি করে। এরপর ঘটনা ঘটিয়ে তারা মামলা দিচ্ছে। এসব নিয়ে এখন চিন্তা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সিলেট বিএনপি’র নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে। এদিকে- রোববারের হরতালে সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতারাও মাঠে সক্রিয় ছিলেন। নগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিএনপি’র একটি বহর নগরের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং, বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় কয়েকটি স্থানে চলাচলকারী যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়। ঢাকার নয়াপল্টনের মামলার আসামি হয়েছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। তিনি জানিয়েছেন, ‘মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে।’ সিলেটে এবারের আন্দোলনে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে প্রথম আটক হয়েছেন নগর বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংকি। গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে- জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংকি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি’র নগর কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস সহ সিনিয়র নেতারা রাজপথে কর্মসূচি পালনে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। কয়েস লোদীর নেতৃত্বে নগরের বন্দরবাজারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুধু সিনিয়র নেতারাই নয়, নগরের তৃণমূলের নেতারাও আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছেন। এর সঙ্গে সিলেটের মানুষের সম্পৃক্ততাও রয়েছে। তিনি আরও বলেন- শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বাধা দেয়ার পর নেতাকর্মীরা পিছু হটে না। এটাই হচ্ছে বিএনপি’র শক্তি ও সামর্থ্য। সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, আজ থেকে সিলেটে মূলত সড়কপথ, রেলপথ অবরোধ করা হবে। সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা লক্ষ্য রাখছে বেশি। এজন্য আন্দোলনে থাকা নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে সিলেট যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা ঢাকা থেকে রোববার রাতের মধ্যে সিলেট এসেছেন। তারাও রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় হচ্ছেন। যুবদলের নেতারা জানিয়েছেন, এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে থাকবেন। মামলা, নির্যাতনকে উপেক্ষা করেই তারা কর্মসূচি পালনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে জানান। পাঠকের মতামত মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।ইনশাআল্লাহ সিলেট বাসি আনদোলনের প্রস্তুত থাকবে বলে তারা জানিয়েছে।