এ এম রিয়াজ কামাল হিরণ,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই বন্যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। মহান আল্লাহ আপনি সহায় হোন৷সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সাতকানিয়া -লোহাগাড়া, কক্সবাজার, বান্দরবান সহ বিস্তৃত এলাকা। অনেকেই পরিবারের কোন খোজ নিতে পাচ্ছে না , বিদ্যুৎ না থাকার কারনে নেটওয়ার্ক সমস্যা পাশাপাশি সব মোবাইল অফ, মূল সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ। বেশিরভাগ এলাকায় ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কোন প্রকার খোঁজখবর নেয়া যাচ্ছে না। আত্মীয় স্বজনরা খোঁজখবর নিতে না পেরে মহা টেনশনে সময় পার করছেন। ঘরে পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আজকে এই বন্যা পরিস্থিতিতে নিরবভূমিকা পালন করছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার বা সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসেননি বলে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন।সকল এলাকার অবস্থা তুলানামূলক খারাপ।তবে চরতী,ডলুকুল,আমিলাইষ ওদিকের নিচু জায়গাগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ। কুয়াড় পাড়া, দসদির হাট থেকে ফকির হাট, খাগরিয়া, চাগাচর ১নং ওয়াডের পরিস্থিতি, লোহাগাড়া বড়হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকা, মোহছেন চৌধুরী পাড়ার অবস্থাও তেমন ভালো না। এইবারের বন্যাটা আমাদের এই প্রজন্মের জন্য স্মরণীয় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।সাতকানিয়া-লোহাগাড়া, বান্দরবান, পেকুয়া, চকরিয়া, চন্দনাইশসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্হিতির অবনতি:
☞ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবন্ত ও বিপর্যস্ত
☞ সড়কে ভাংগন ও যান চলাচল ব্যাহত
☞ বিশুদ্ধ পানির সংকট
☞ খাদ্যদ্রব্য সংকট
☞ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
☞ দোকান- ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি
☞ কৃষি জমি,মৎস্য প্রজেক্ট, মুরগীসহ বিভিন্ন প্রানীজ খামার প্লাবিত
☞ জনজীবনে দুর্ভোগ ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
☞ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা
☞ বয়স্ক,শিশু ও রোগীদের অবর্ণনীয় কষ্ট
☞ চিকিৎসা সেবা ও ত্রানতৎপরতা বিঘ্নিত
এমতাবস্হায় পানিবন্দী মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট সকল এনজিও, মানবিক সংস্থা, সমাজকর্মী,প্রশাসন, প্রবাসী ও বিত্তবানদের আন্তরিক এবং উদার সহযোগিতা কামনা করছি।